ত্বকের যত্ন নিতে গোলাপ জল ব্যবহার করেন অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক ভাল রাখতে অনেকেরই রোজের রূপরুটিনে থাকে গোলাপজল। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার এর চেয়ে ভাল উপায় আর হয় না। ত্বক ভিতর থেকে কোমল রাখে গোলাপজল। ত্বকের কোষগুলিতে ময়লা জমতে দেয় না। অনেকেই সারা বছর গোলাপজলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে মাখেন। ত্বক মসৃণ হওয়ার বদলে এতে আরও শুষ্ক হয়ে যায়। গ্লিসারিনের মতো আরও কিছু প্রসাধনী রয়েছে, যেগুলি গোলাপজলের সঙ্গে না মেশানোই ভাল। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এসেন্সিয়াল অয়েল
গোলাপজলের সঙ্গে এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে ত্বকে মাখার চল রয়েছে। এসেন্সিয়াল অয়েল এমনিতে উপকারী। তবে গোলাপজলের সঙ্গে ব্যবহার না করাই ভাল। এসেন্সিয়াল অয়েল শুধু মাখতে পারেন। গোলাপজলের সঙ্গে মাখলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
বেকিং সোডা
কেক বানানো ছাড়াও রূপচর্চায় বেকিং সোডা ব্যবহার হয়। অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদানে সমৃদ্ধ বেকিং সোডার ব্যবহারে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। কিন্তু গোলাপজলের সঙ্গে ভুলেও বেকিং সোডা মিশিয়ে মাখবেন না। এতে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়।
ভিনিগার
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বা়ড়িয়ে তোলে ভিনিগার। তাই অনেকেই ত্বকের পরিচর্যায় ভিনিগার ব্যবহার করেন। কিন্তু ভিনিগারের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে কখনও মাখবেন না। এতে ত্বক ম্লান হয়ে যায়। ব্রণ আর র্যাশের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এর ফলে।
লেবুর রস
ব্রণ তাড়ানোর অন্যতম উপায় লেবুর রস। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ত্বকের সমস্যার চটজলদি সমাধান। লেবুর রস আর যে প্রসাধনের সঙ্গেই মেশান, ভুল করেও গোলাপজলের সঙ্গে মেলাবেন না। লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড উপাদান গোলাপজলের সঙ্গে মিশলে ত্বক ভিতর থেকে রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকের পিএইচ উপাদানও ভারসাম্য হারায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy