তারকারা নানা অনুষ্ঠানে নানারকম সাজেন। পুরস্কারের মঞ্চের সাজ একরকম। সেই পুরস্কার জাতীয় পুরষ্কার হলে আবার তার সাজ আর এক রকম। দীপাবলি বা বিয়ের পার্টিতে সাজ বদলে যায়, সাজ বদলায় চলচ্চিত্রোৎসব, সরকারি অনুষ্ঠানে গেলেও। তেমনই এক প্রিমিয়ারের অনুষ্ঠানে করিনা কপূর খান হাজির হলেন সেজেগুজে। পোশাকের দৌলতে তাঁকে দেখাচ্ছিল বাঘিনীর মতো!
ফিল্মের প্রিমিয়ার নয় অবশ্য। করিনা গিয়েছিলেন একটি আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি ব্যাঙ্কিং সংস্থার প্রিমিয়ার ইভেন্টে। সেখানেই তাঁর সাজ দেখে তাক লেগে যাওয়ার জোগাড়। অভিনেত্রী গাড়ি থেকে নামলেন বাঘছাল ছাপের একটি শাড়ি, সঙ্গে একই রকমের জ্যাকেট এবং বিকিনি ব্লাউজ় পরে।
মধ্য চল্লিশে ঈষৎ ভারী হয়ে যাওয়া চেহারা নিয়েও করিনার আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। সাহসী পোশাক বেছে নেন এবং তাতে তাঁকে মানিয়েও যায়। তবে শুধু মানিয়ে যায় বললে কম বলা হয়, ফ্যাশনবোদ্ধারা বলেন, করিনা যা-ই পরেন, তাতেই তিনি সবার চোখ ধাঁধিয়ে দিতে পারেন।
করিনার জন্য শাড়িটি তৈরি করেছেন বাংলার পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। তার পোশাকের নকশা বরাবরই আলাদা করে নজর কাড়ে। মাঝেমধ্যেই নিজের কাজের ভাবনাতে চমকে দেওয়া বদল আনেন তিনি। ঠিক যখন তাঁর নামের সঙ্গে কোনও একটি নকশা জড়িয়ে যেতে শুরু করে, তখনই তিনি ট্রেন্ড বা প্রচলিত ধারা ভাঙেন। এ বার যেমন সব্যসাচী নতুন করে ফ্যাশনে ফেরালেন অ্যানিম্যাল প্রিন্ট।
করিনাকে চিতা বাঘের ছালের প্রিন্টের শাড়ি পরিয়েছেন সব্যসাচী। যাকে বলা হয় লেপার্ড প্রিন্ট। এই ধরনের প্রিন্ট ফ্যাশনে আসে পঞ্চাশ থেকে ষাটের দশকে। পরে সত্তর থেকে আশির দশকেও এই প্রিন্ট ফ্যাশনে রাজত্ব করে। সাম্প্রতিক কালে এই ফ্যাশন নতুন করে ট্রেন্ডে ফিরেছিল ২০২৩-২৪ সালে। ওই বছরে ইতালি বা মেক্সিকোর গ্যাংস্টার এবং মবওয়াইফ অর্থাৎ তাঁদের স্ত্রীদের বাহুল্যে ভরপুর ফ্যাশনের ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল। সব্যসাচী সেই ফ্যাশন আচমকাই ফিরিয়ে আনলেন শাড়িতে।