কালো শাড়ির সঙ্গে যেমন তেমন গয়না পরে নিলে কিন্তু দেখতে ভাল লাগবে না। বিয়েবাড়ি বা পার্টি হোক, অথবা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে কালো শাড়ির সঙ্গে হাতকাটা বা হল্টার নেক ব্লাউজ় পরলে লুকটাই বদলে যায়। তবে শাড়ির সঙ্গে যদি মানানসই গয়না না পরেন, তা হলে কিন্তু গোটা সাজটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। যদি চান কালো শাড়িতে আপনিই হবেন নজরকাড়া, তা হলে গয়না বাছতে হবে বুদ্ধি করেই।
কালো শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়নার যুগলবন্দি সবসময়েই সেরা। তবে গয়না বাছুন শাড়ির ধরন অনুযায়ী। যদি মোটা জরির পাড়ের শাড়ি হয়, তা হলে সোনার লম্বা নেকলেস আর ছোট দুল বেশ লাগবে। পাড় সরু হলে, সোনার চিক পরতে পারেন।
বেনারসি কিংবা জামদানির মতো শাড়ি হলে সোনার বা রুপোর লম্বা সীতাহার কিংবা লহরি, কানবালা, হাতে বালা কিংবা চূড় একেবারে সনাতনী সাজে সেজে ফেলতে পারেন। এখন অবশ্য গোল্ড প্লেটেড গয়নাও ভীষণ ‘ইন’। পরতে পারেন সেগুলিও।
আরও পড়ুন:
রুপোর বদলে অক্সিডাইজ়ড গয়নাও পরা যায়। টেরাকোটা একটু ভারী হয়। যদি সেই ভার বইতে পারেন, তা হলে তা-ও চলতে পারে।
কালোর সঙ্গে কিন্তু জাঙ্ক জুয়েলারি বা আফগানি গয়নাও বেশ মানাবে। একঘেয়ে চুড়ি বা বালার বদলে হাতে পরুন চওড়া ব্রেসলেট, কিংবা বড় আংটি। শাড়ির কাজ হালকা হলে বেছে নিন জমকালো ভারী কাজের গয়না। এতে গয়নার সৌন্দর্য ফুটে উঠবে বেশি করে। টেম্পল জুয়েলারি বা পাথর বসানো গয়নাও ভাল লাগবে।
সবসময়ে যে কানে, হাতে ও গলায় একসঙ্গে গয়না পরতে হবে তার কোনও মানে নেই। শাড়ি যদি খুব জমকালো হয়, তা হলে কানে অক্সিডাইজ্ড ভারী দুল পরলেও দেখতে ভাল লাগবে। গলায় কিছু না পরে বরং হাতে কয়েক গাছা ভারী অক্সিডাইজ্ড চুড়ি পরে নিলেই মুহূর্তে আপনার সাজ হয়ে যাবে তুমুল নজরকাড়া। তবে মনে রাখা দরকার জাঙ্ক জুয়েলারি ব্যবহার করতে গেলে কিন্তু খুব খেয়াল রাখতে হয়, যাতে অতিরিক্ত না হয়ে যায়।