শীতের ম্লান ও নিস্তেজ ত্বকে বলিরেখার উদয়। ঘরোয়া টোটকা ও তার প্রয়োগের তত সময় নেই সারা দিনে। এ দিকে নামীদামি পণ্য মুখে মেখেও কাজ হচ্ছে না। সহায় হতে পারে দিদিমা-ঠাকুরমার থেকে শেখা প্রাচীন টোটকা। আর তা হল, নাভিতে তেল মালিশ। নাভিকে প্রাচীন কাল থেকে শরীরের কেন্দ্রীয় শক্তিস্থল হিসেবে দেখা হয়। তেল মালিশ করলে ত্বকে ও শরীরে পুষ্টি জোগানের কাজও সহজ হয়ে যায়। স্নায়ুর উত্তেজনাকে প্রশমিত করার পাশাপাশি হজমের সমস্যা মেটাতেও এই প্রথা অনুসৃত হত সাবেক কালে। একই সঙ্গে ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও এই টোটকা কার্যকরী হতে পারে। তবে কেবল একটি তেলের উপর ভরসা না করে কয়েকটি উপকরণ দিয়ে বিশেষ মিশ্রণ বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ। শিখে নিন প্রস্তুতপ্রণালী।
নাভিতে তেল মালিশের কী কী উপকারিতা রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
এই তেল বানানোর জন্য কী কী উপকরণের প্রয়োজন?
১ টেবিল চামচ কুমকুমাদি তেল
১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল
১ টেবিল চামচ নারকেল তেল
অর্ধেক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল
অর্ধেক টেবিল চামচ রোজ়হিপ তেল
৪-৫ ফোঁটা ফ্র্যাঙ্কিনসেন্স এসেনশিয়াল অয়েল
৩-৪টি কেশর
কী ভাবে বানাবেন এই তেল?
একটি ড্রপার যুক্ত বোতলে প্রত্যেকটি তেল মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কেশরগুলি ঢেলে দিন। প্রায় ২-৩ দিন ধরে এই অবস্থায় রেখে দিন। এক বার বানিয়ে নিলে রোজের ঝক্কি পোহাতে হবে না। উপরন্তু তার প্রয়োগে কোনও বাড়তি খাটনি নেই।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
রাতের বেলা ৩-৫ ফোঁটা তেল নিয়ে নাভিতে মালিশ করুন। ব্যবহার করার আগে অল্প গরম করে নিলে বেশি ভাল ফল পাবেন। খানিক ক্ষণ ঘড়ির কাঁটার দিকে, খানিক ক্ষণ ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে হাত ঘুরিয়ে মাসাজ করতে হবে। ৪-৬ সপ্তাহ একটানা রোজ এই নিয়মে মালিশ করলে ভাল ফল পাবেন।
কী কী উপকারিতা?
ত্বকের বলিরেখা মিলিয়ে যেতে পারে ধীরে ধীরে। স্ট্রেচ মার্কও দূর হতে পারে। ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে। শীতে ম্লান হয়ে যাওয়া মুখে জেল্লা ফিরিয়ে ত্বক টানটান করে তুলতে পারে এই টোটকা।