প্রথম ছবি ‘মার্ডার’-এই তাঁর লাস্যময়ী আবেদনে চমকে গিয়েছিলেন ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীরা। তার পরে বলিউড থেকে হলিউড হয়ে আচমকাই পর্দা থেকে উধাও হয়েছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। বহুবছর পর যখন তাঁর খোঁজ মিলল, তখন তিনি সংসারী। তবে গ্ল্যামারে বিন্দুমাত্র টান পড়েনি। আর এখন, ৪৮ বছর বয়সেও অটুট তাঁর আবেদন। ইন্টারনেটে মাঝে মধ্যেই ছবি-ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। দেখে বিস্মিত হন মল্লিকার অনুরাগীরা। অনেকেই জানতে চান মল্লিকার রূপের রহস্য। কেউ বা কটাক্ষ করেন ‘বোটক্স করিয়েছে’ বলে। সম্প্রতি এক ভিডিয়োয় যদিও মল্লিকা বলছেন, তিনি বোটক্স করান না। শুধু তা-ই নয়, মল্লিকা বলেছেন, ‘‘আমি বোটক্সের মতো কৃত্রিম ব্যবস্থায় বিশ্বাসই করি না। আমাকে যেমন দেখছেন, তার পুরোটাই প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া।’’
৪৮ বছরেও ‘তরুণী’ মল্লিকা।
ভিডিয়োটি মল্লিকা পোস্ট করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। সেখানে মল্লিকাকে বেশ ঝকঝকে দেখাচ্ছে। তাঁর ত্বক উজ্জ্বল, টানটান। ঘন চুল এলোমোলো হয়ে ছড়িয়ে রয়েছে মুখের চারপাশে। মসৃণ ত্বকে সামান্য দাগ-ছোপও নেই। চোখের তলায় নেই কালচে বা ফোলাভাব। মল্লিকা বলছেন, ‘‘আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম এই ভিডিয়ো করছি। আমি কোনও ফিল্টার ব্যবহার করছি না। আমি মুখে কোনও মেকআপ করিনি। এমনকি, আমি এখনও নিজের চুল পর্যন্ত আঁচড়াইনি।’’ মল্লিকা জানিয়েছেন, এই ভিডিয়ো তিনি এটা বোঝানোর জন্য করছেন যে, ভাল দেখানোর জন্য বোটক্সের কোনও দরকার নেই। তাঁর মতো প্রাকৃতিক উপায়েই বয়সকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
কী ভাবে রূপচর্চা করেন মল্লিকা?
মল্লিকা বোটক্সে বিশ্বাস করেন না। তিনি বলছেন, ‘‘রূপচর্চায় আমি সাধারণ কয়েকটি বিষয় মেনে চলি—
বয়সকে চার নীতিতে বশে রাখেন মল্লিকা।
১। পরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়া
অর্থাৎ বাড়িতে ভাল গুণমাণের উপকরণে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার। অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলা দেওয়া বাইরের খাবার নয়। প্রক্রিয়াজাত বা কারখানায় তৈরি বা প্যাকেটজাত খাবারও নয়। চিনি-ময়দাজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা।
২। শরীরকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখা
প্রচুর জল খাওয়া এবং সারাদিনে নানারকমের তরল খাবার খাওয়া। এ ছাড়া মরসুমি তাজা রসালো ফল খেয়েও শরীর আর্দ্র রাখা যায়।
৩। ঘুম
মল্লিকা ‘আর্লি টু বেড’ অর্থাৎ তাড়াতাড়ি ঘুমনোয় বিশ্বাসী। দেরি করে বিছানায় না যাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের উপরে ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য অনেকখানি নির্ভর করে।
৪। শরীরচর্চা
নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে কোষে কোষে রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। যা শরীরকে ভিতর থেকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। যার প্রভাব পড়ে ত্বকেও।
বোটক্সকে বিদায় দিন, আর্জি মল্লিকার।
মল্লিকা জানাচ্ছেন, বোটক্স করানোর থেকে এই চারটি কাজ মন দিয়ে করলেই শরীর এবং ত্বক ভাল থাকবে। তিনি বলছেন, ‘‘পিতৃতান্ত্রিক সমাজ সৌন্দর্য নিয়ে একটা বিষাক্ত ধারণা গেঁথে দিয়েছে আমাদের মনে। আমরা তার সঙ্গেই পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যা ক্ষতিকর। আমি বোটক্সে বিশ্বাস করি না। মনে করি, প্রাকৃতিক ভাবেই আমরা ত্বক ভাল রাখতে পারি। আমি চাইব, আপনারাও এগুলি মেনে চলুন। বোটক্সকে বিদায় জানান।’’