ত্বকে সরাসরি সুগন্ধি লাগানোর অভ্যাস আছে? গন্ধ দীর্ঘ ক্ষণ টিকিয়ে রাখতে অনেকেই ত্বকের উপরে সুগন্ধি স্প্রে করেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। সুগন্ধিতে এমন সব রাসায়নিক থাকে যা থেকে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। ত্বকে সুগন্ধি লাগিয়ে ‘কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’-এর সমস্যা হয়েছে এমন উদাহরণ অনেক। সে ক্ষেত্রে ত্বকে লালচে র্যাশ বেরিয়ে যায়। পুজোর ক'দিন প্রায় রোজই সুগন্ধি মেখে যদি ঘাড়ে, গলায় বা ত্বকের যে কোনও জায়গায় কালচে দাগছোপ পড়ে যায়, তা হলে কী করবেন?
গলা ও ঘাড়ের কাছে এই কালচে দাগকে বলা হয় ‘অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিকানস’। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে অথবা ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’ হলে এমন দাগ দেখতে পাওয়া যায়। চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করে। আবার অত্যধিক সুগন্ধি ব্যবহারের কারণেও এমন দাগ হতে পারে।
বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল দেওয়া সুগন্ধি ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক রং নষ্ট হতে থাকে। দেখা গিয়েছে, ওই ধরনের সুগন্ধি ঘাড়ে বা গলায় লাগিয়ে রোদে বেশি ক্ষণ থাকলে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির সঙ্গে সুগন্ধির রাসায়নিকের বিক্রিয়া হয়ে ত্বকের ওই অংশের মেলানিনের মাত্রার হেরফের হয়। ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে।
আরও পড়ুন:
দাগছোপ উঠবে কী ভাবে?
অ্যালার্জি বা দাগছোপ তুলতে ঈষদুষ্ণ জলে ঘন করা দুধ আর ওট্মিল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। যেখানে অ্যালার্জি হয়েছে সেই জায়গায় প্যাকটি কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।
স্নানের জলে কয়েকটি নিম পাতা আগে থেকে ফেলে রাখতে পারেন। আবার, নিম পাতা ফোটানো জল তুলোয় করে র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাতেও উপকার হবে।
১ চামচ নিম গুঁড়ো এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগান, প্রায় ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিমেও রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। এছাড়া এটি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে এবং অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকানোর জন্যও উপকারী।