বৃষ্টি এ বার লম্বা সময় ধরেই চলছে। পুজোর সময়েও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছেন অনেকে। একেই ভ্যাপসা গরমে ঘেমেনেয়ে অস্থির, তার উপর বৃষ্টি হলে সাজগোজ সব নষ্ট! ভেজা পোশাকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে হবে। তাই পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক দিকে যেমন প্যাচপেচে গরমের কথা মাথায় রাখতে হবে, তেমনই বর্ষায় স্বচ্ছন্দ থাকা যাবে, এমন পোশাকও বেছে নিতে হবে এ বারের পুজোর ফ্যাশনে।
জল-কাদার ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে শাড়ি পরার ঝুঁকি নিতে চান না? খুব বেশি ভারী কারুকাজের শাড়ি হলে বর্ষায় তা সামলানো কঠিন। তবে বর্ষা বলে সাজের সঙ্গে আপস কেন? একটু বুদ্ধি খরচ করে শাড়ি বাছাই করলেই হতে পারে মুশকিল আসান। বর্ষায় পরতে হলে কী ধরনের শাড়ি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন, রইল তার হদিস।
১) শিফন: অনেকের সুতো, জরি, চুমকির কাজ করা শাড়ি পছন্দ। কিন্তু বর্ষাকাল তেমন পোশাকের জন্য উপযুক্ত নয়। হালকা বৃষ্টিতেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে শাড়ির কাজ। তাই এ সময়ে সুতো-জরির কাজ ছাড়া শাড়ি পরাই সুবিধাজনক। এ সময় পর্দার রানির (আলিয়া ভট্ট) মতো একরঙা বা অমব্রে এফেক্টের শিফন বেছে নিতে পারেন কিংবা প্রিন্টেড শিফন শাড়িও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। হাতাকাটা ডিপ নেক ব্লাউজ় , কানে ঝুমকো, হালকা মেকআপ— ব্যস্, তাতেই নজর কাড়তে পারেন সকলের।
২) জর্জেট বেনারসি: পুজোর অষ্টমীর রাতে বেনারসি পরলে কেমন হয়? তবে বর্ষায় কাতান বেনারসি নয়, বদলে বেছে নিতে পারেন জর্জেট বেনারসি। এই শাড়ি দেখতে ভারী হলেও আদতে খুবই হালকা হয়। পরতেও সুবিধে আর বর্ষায় জল-কাদা পেরিয়ে বিয়েবাড়ি যেতে হলেও খুব বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় না। তবে হালকা রঙের নয়, এই সময় চটকদার গাঢ় রঙের একটা জর্জেট শাড়ি পরেই ভিড়ের মধ্যেও নজরে আসতে পারেন।
৩) অরগ্যানজা : হালফ্যাশনে অরগ্যানজা শাড়ি ‘ইন’। এ বার পুজোয় এই শাড়িও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। এই শাড়ি খুব হালকা হয়। আসল অরগ্যানজা এতটাই হালকা হয় যে, তা গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। তাই বর্ষায় এই রকম শাড়ি পরলে দেখতেও ভাল লাগবে আর পরতেও খুব বেশি ঝক্কি হবে না।
বর্ষায় শাড়ি পরতে হলে খুব বেশি ভারী শাড়ি বাছাই না করাই ভাল। হালকা শাড়ির সঙ্গে ভারী নকশাদার ব্লাউজ় পরুন। ভারী গয়নাগাটি পরুন। তাতেই নজরে আসবেন সবার।