সার, জল দিয়ে বাগানের গাছটিকে বড় করে তোলেন তো? উদ্ভিজ্জ উপাদানটিও ঠিক ওই সার এবং জলের মতো কাজ করে আপনার চুলের ক্ষেত্রে। সহজ, কার্যকরী একটিমাত্র উপাদান, অ্যালো ভেরা। ত্বকে, চুলে, বিভিন্ন অঙ্গে, সব ক্ষেত্রেই এই উপাদানের উপকারিতা অঢেল। রাসায়নিক মেশানো একরাশ সামগ্রী মেখেও তো চুল পড়া থামছে না! কেবল প্রতি মাসে বড় অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে কেশচর্চার পিছনে। এ বার তবে ছিমছাম আয়োজনের প্রতি ভরসা রেখে দেখতে পারেন। প্রয়োগেও কোনও বাহুল্য নেই।
আরও পড়ুন:
অ্যালো ভেরা মাথার ত্বকে কী ভাবে কাজ করে?
মধ্যবয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যালো ভেরা বেশি কার্যকরী। সে সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শুষ্ক এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠে মাথার ত্বক। শ্যাম্পু মাখতে মাখতে প্রায়শই মাথার ত্বক থেকে স্বাভাবিক তেল দূর হয়ে যায়। অ্যালো ভেরা মাথার ত্বকে পুষ্টি প্রদান করে, ফলিকলে আটকে থাকা পদার্থগুলিকে অপসারণ করতে সাহায্য করে। এই উদ্ভিদের প্রাকৃতিক উৎসেচক মৃত ত্বকের কোষগুলিকে দূর করতে পারে। অ্যালো ভেরায় ৭৫টিরও বেশি সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যার মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন অন্যতম। এগুলি চুলের ফলিকলে পুষ্টির জোগান দেয়। মাথার ত্বকে তাই অ্যালো ভেরা মাখলে পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় বলে চুল গজানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় মাথার ত্বকে।

মধ্যবয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যালো ভেরা বেশি কার্যকরী। ছবি: সংগৃহীত।
চুলে কী ভাবে মাখবেন অ্যালো ভেরা?
সম্ভব হলে বাড়িতেই অ্যালো ভেরা গাছ লাগিয়ে নিন। উপায় না থাকলে দোকান থেকে ৯৯ শতাংশ খাঁটি জেল কিনবেন। কিন্তু বাড়ির গাছের পাতা কেটে জেল চেঁছে বার করে নিলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে। চুল হালকা ভিজিয়ে নিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে সিঁথি কেটে কেটে জেলটুকু লাগিয়ে ফেলুন। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য ২-৩ মিনিট আলতো করে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট রেখে দিন, তার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। কোথাও বেরোনোর না থাকলে শ্যাম্পু বাদ দিলেও চলে সে দিনের জন্য।