অনলাইনে অর্ডার দিয়ে পোশাক কেনার হিড়িক বেড়েছে। পুজোর আগে এখন অনলাইন শপিং সাইটগুলির চাহিদা তুঙ্গে। তা ছাড়া শপিং মলগুলিতেও ভিড় লেগে রয়েছে। পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না, মেকআপ, সবই কেনা চলছে। তবে সাজ যদি সম্পূর্ণ করতে হয়, তা হলে পোশাকের সঙ্গে মানানসই হাতব্যাগও কিন্তু জরুরি। পুজোর পাঁচ দিনের সাজগোজে থাক বৈচিত্র। ষষ্ঠীতে জিন্স-টপ, সপ্তমীতে ক্রপ টপ-স্কার্ট, অষ্টমীর দিন শাড়ি আর নবমীতে গাউন, দশমীটা না হয় থাকুক সালোয়ারের জন্য। পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যাগ না হলে কি চলে? তবে কী কিনবেন তা বুঝতে পারেন না। কিছু ব্যাগ সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই দারুণ মানায়, আবার সাবেকি পোশাকের সঙ্গে বিশেষ ধরনের ব্যাগ না নিলেই নয়। পুজোয় কোন কোন ব্যাগ রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়, রইল হদিস।
ক্লাচ
অষ্টমীর রাত হোক বা নবমীর সকাল— জমকালো পোশাকের সঙ্গে একটি ক্লাচ সঙ্গে না রাখলেই নয়। স্ট্র্যাপ লাগানো ক্লাচও পাওয়া যায়। সোনালি, রুপোলি আর কালো, এই তিন রঙের ক্লাচ থাকলেই যে কোনও পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। তবে ক্লাচে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ধরছে কি না, দেখে নেবেন। ক্লাচে টুকিটাকি জিনিস রাখারই জায়গা থাকে। তবে টাকাপয়সা, জরুরি কার্ড, মোবাইল ও যৎসামান্য মেকআপ রাখার মতো জায়গাও যেন হয়ে যায়।
রেট্রো ব্যাগ
এই ব্যাগের উত্থান নব্বইয়ের দশকে। ইতালির এক ফ্যাশন সংস্থার হাত ধরে এক সময় বাজার কাঁপিয়েছিল এই ব্যাগ। সেই সময়ের সিনেমায় এই ধরনের বহুল ব্যবহার দেখা গিয়েছে। মূলত কাঁধের ব্যাগ। বাহুমূলের নীচ পর্যন্ত ঝুলে থাকে। ব্যাগে একটিই স্ট্র্যাপ আর একটিই চেন। আকারে ছোট। তবে ছোট হলেও টুকটাক বেশ কিছু জিনিস এর মধ্যে ধরে যাবে। সম্প্রতি ফ্যাশনে ফিরেছে এই ব্যাগ। সাবেকি পোশাকের সঙ্গে এই ব্যাগ যতটা মানানসই, পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে এর যুগলবন্দি ঠিক ততটাই ফ্যাশনেবল। পুজোয় নিজের সংগ্রহে রাখতেই পারেন এমন একটি ব্যাগ।
ক্রসবডি ব্যাগ
পরনে যে পোশাকই থাক, আলাদা করে সামলানোর ঝক্কি নিতে না চাইলে এই ব্যাগ নিতে পারেন। মাথা দিয়ে গলিয়ে বুক বরাবর ঝুলিয়ে দিলেই হল। পুজোর ভিড়ে যতই ঠেলাঠেলি হোক, কাঁধ থেকে ব্যাগ খুলে পড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। তবে কেউ চাইলে কাঁধেও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। কমবয়সিদের মধ্যে এই ব্যাগের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। ষষ্ঠী কিংবা সপ্তমীর দিন ঢিলেঢালা ট্রাউজ়ার, সঙ্গে শার্ট হোক বা টিশার্ট আর স্নিকার্স— এমন সাজের সঙ্গে কাঁধে একটা ক্রসবডি ব্যাগ ঝুলিয়ে নিলেই হল।
বটুয়া
যদি শাড়ি বেশি পছন্দ হয়, তা হলে তার সঙ্গে বটুয়া দারুণ মানানসই হবে। রাজস্থানি বা গুজরাতি কাজ করা, পুঁতি, বিডস বসানো বিভিন্ন ধরনের বটুয়া পাওয়া যায়। সোনালি সুতোর কাজ করা জমকালো বটুয়া কমবয়সিদেরও পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বিভিন্ন আকারের পুঁতি, কাচ বসানো এই পোটলি ব্যাগগুলি দেখতেও বেশ নজরকাড়া। কেবল শাড়ি নয়, সালোয়ার কিংবা এথনিক গাউনের সঙ্গেও দারুণ মানাবে এমন সব বটুয়া।
ব্যাগে দেবী দুর্গা
কেবল শাড়ি কিংবা ব্লাউজ়েই নয়, এ বছর কিন্তু ব্যাগের সম্ভারে চোখে পড়বে দেবীর মুখ। পুজো স্পেশ্যাল কোনও ব্যাগের খোঁজ করলে দুর্গার মুখ আঁকা একটি ব্যাগ রাখতেই পারেন পছন্দের তালিকায়। ক্লাচ হোক বা স্লিং, টোট হোক বা হ্যান্ড ব্যাগ— সব ধরনের ব্যাগেই দেবী দুর্গার ছবি পেয়ে যাবেন। শাড়ি হোক বা ড্রেস, যে কোনও পোশাকের সঙ্গে এমন ব্যাগ দারুণ মানাবে।