মেকআপে প্রাইমারের ভূমিকা মূলত তিনটি। প্রথমত, ত্বকের ছিদ্র যাতে স্পষ্ট না হয়ে থাকে, তাই সঙ্কুচিত করা। দ্বিতীয়ত, ত্বককে টানটান করা। তৃতীয়ত, অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়া। এর ফলে মেকআপ মুখে বসতে পারে ভাল ভাবে। টেকসই হয় সাজ। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাজারজাত পণ্য ঠিক মতো কাজ দিচ্ছে না। বৃথা অর্থখরচ। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া পণ্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
প্রাকৃতিক তেল কেবল আর্দ্রতা বাড়ায় না, মেকআপে উজ্জ্বল আভাও এনে দিতে পারে। উপরন্তু মেকআপে ম্যাট ফিনিসও পাওয়া যায় সহজে। মেকআপের পণ্য যেমন অনলাইনে কেনেন, তেমনই ৫ রকমের তেল, যা 'প্রাকৃতিক প্রাইমার' হিসেবে পরিচিত, সহজেই পেয়ে যাবেন।
১. রাইস ব্রান অয়েল– অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল। এটি ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে। হালকা বলে ত্বকে সহজে মিশেও যায়। সব রকমের ত্বকের জন্য উপযোগী।
২. গ্রেপসিড অয়েল– তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেরা এই তেল। হালকা বলে মুখে অতিরিক্ত ভার তৈরি হয় না। তবে এটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে না। মেকআপের আগে ব্যবহার করলে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসতে পারে।
৩. চিয়াসিডের তেল– ত্বকের প্রদাহ বা লাল ভাব, জ্বালা ভাব দূর করতে পারে চিয়ার তেল। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যাও দূর হতে পারে। হালকা ও দ্রুত শোষিত হয়ে যায় ত্বকে। মেকআপের সময়ে ত্বকের নিস্তেজ ভাব দূর করে।
৪. সজনের তেল– ওলেইক অ্যাসিডে পরিপূর্ণ সজনের তেল। তেলচিটে ভাব না রেখেই ত্বককে আর্দ্র করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযুক্ত প্রাইমার অয়েল এটি। মেকআপের আগে ত্বকের প্রস্তুতির জন্য এটি মাখতে পারেন। ফাউন্ডেশন বা অন্য বেস মেকআপ আরও পোক্ত ভাবে বসতে পারে এই তেলের কারণে।
৫. মারুলা অয়েল– বার্ধক্যরোধের ক্ষমতা রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ এই তেলের। মেকআপের আগে ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করতে পারে। অন্য কোনও পণ্য ব্যবহারের আগে কয়েক ফোঁটা তেল হাতে নিয়ে মুখে মাসাজ করুন। উপকার পেতে পারেন।