বয়স তাঁর কাছে কেবলই সংখ্যামাত্র। আর তাই ৭০ বছর বয়সও তাঁকে কোনও কিছু থেকে আটকে রাখতে পারে না। রোশনিদেবী সাঙ্গোয়ানের ভারোত্তোলনের ভিডিয়ো আট থেকে আশি, সবার কাছেই বিস্ময়কর। তাঁর মতো শারীরিক শক্তি পেতে হলে কোন পথে হাঁটতে হবে? কী করলে এত ফিট থাকা যায়? যে কোনও বয়সের অনুগামীরই রোশনিদেবীকে নিয়ে এমন কৌতূহল। আর সেই কৌতূহলের অবসান ঘটালেন পডকাস্ট তারকা রণবীর আল্লাহবাদিয়া।
রোশনিদেবীর ছেলে অজয় সাঙ্গোয়ানই মাকে ফিটনেস জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন। ৭০ বছরের রোশনিদেবীর খাওয়াদাওয়া এবং ফিটনেসের দায়িত্ব তাঁর ছেলেরই। সম্প্রতি নিজের ডায়েটের বিস্তারিত বিবরণ দিলেন রোশনিদেবী। তিনি বললেন, “সকালে একটু ওটস নিই। সঙ্গে ১০টা বাদাম আর কিশমিশ, সব মিশিয়ে জুস বানিয়ে খেয়ে নিই। দুপুরে খানিকটা ভাত, ডাল, স্যালাড আর দই খাই। সন্ধ্যাবেলা মুগডাল ভিজিয়ে রেখে চিলা বানাই। তাতে পনির আর ১–২টো কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিই। রাতে কেবল এক গ্লাস দুধ খাই। এটাই আমার রোজের খাবার। এর বাইরে আর কিছু খাই না।” অর্থাৎ, সাদাসিধে অথচ কঠোর ডায়েটে রয়েছেন রোশনিদেবী। ‘চিট ডে’-র অবকাশও নেই তাঁর ডায়েটে।
আরও পড়ুন:
ওটস, বাদাম, ডাল, ভাত, দই, মুগের চিলা, পনির— রোশনিদেবীর ডায়েটের সমস্ত উপকরণ খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর ফাইবারের সুন্দর ভারসাম্য তৈরি করা হয়েছে এতে। এই ধরনের খাবার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি এনে দেয়। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে। পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়। ৭০ বছরের ‘তরুণী’র খাদ্যাভ্যাস আপনার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। রোশনিদেবী প্রমাণ করেছেন, বয়স যতই হোক, শরীরচর্চা আর সঠিক খাবারের জোরেই বয়সজনিত সমস্যাকে হার মানানো সম্ভব।