স্নানের ঘণ্টাখানেক আগে মাথার তালুতে গরম তেল মালিশ করে শ্যাম্পু করে নেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত।
ধুলো, ধোঁয়া, দূষণ, বাজারচলতি নানা প্রসাধনীর বহুল ব্যবহার, চুল সোজা করতে কিংবা কার্ল করতে তাপের ব্যবহার— এ সব কারণে চুলের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। মাথায় চিরুনি বসালেই মুঠো মুঠো চুল উঠছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই তেলের উপরে ভরসা রাখেন। কেউ স্নানের ঘণ্টাখানেক আগে মাথার তালুতে গরম তেল মালিশ করে শ্যাম্পু করে নেন। কেউ আবার আগের দিন রাতে ভাল করে তেল মালিশ করে ঘুমাতে যান। পরের দিন সকালে চুল ধুয়ে ফেলেন। সকলের ক্ষেত্রে নিয়মিত চুলে তেল দেওয়ার কি অভ্যাস আদৌ ভাল?
খুশকির সমস্যা থাকলে: আপনার যদি চুলে খুশকির সমস্যা থাকে, তা হলে মাথায় তেল না দেওয়াই ভাল। ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে খুশকি হয় মাথায়। তেল দিলে ছত্রাকগুলি আরও পুষ্টি পায়, আর তাতেই বাড়ে সমস্যা। তাই খুশকি থাকলে তেল এড়িয়ে চলাই ভাল। এ ক্ষেত্রে মাথায় লেবুর রস ঘষে দেখতে পারেন, খুশকির সমস্যার দাওয়াই হতে পারে লেবু।
অনেকেই রাতে চুলে তেল মেখে শুতে যান। ছবি: সংগৃহীত।
মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে: আপনার মাথার ত্বক কি তৈলাক্ত? তৈলাক্ত ত্বকে ধুলো-বালি-ময়লা বেশি জমে। যাঁদের এমন সমস্যা আছে, তাঁদের বেশি তেল না মাখাই ভাল, নইলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
কপালে ব্রণ থাকলে: হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে মুখভর্তি ব্রণ হয় অনেকের। দূষণের জেরে কিংবা অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে মুখ জুড়ে ব্রণের প্রবণতা বাড়ে। অনেকের আবার কপালে ব্রণ হয়। সে ক্ষেত্রেও তেল মাথায় না লাগানোই ভাল। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বাড়ে।
অনেকেই বেশি উপকার পাবেন ভেবে রাতে চুলে তেল মেখে শুতে যান। রাতে চুলে তেল মেখে রেখে দেওয়ার আলাদা কোনও উপকারিতা নেই। কেউ চাইলে চুলে তেল মাখতেই পারেন। তবে শ্যাম্পু করার প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট আগে তেল মেখে নিলেই কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy