চোখের নীচে কালচে ছোপ পড়ার নানা কারণ থাকতে পারে। সেটি যদি জিনগত হয় বা কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়, তবে তার চিকিৎসা আলাদা। তবে তা যদি হয় দৈনন্দিন যাপনের অনিয়মের ফল, তবে কয়েকটি টোটকা কাজে দিতে পারে। অনেক সময়ে চোখের নীচে কালি পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঘুমের ঘাটতি। ব্যস্ত জীবনে এবং মোবাইল সর্বস্ব জীবনে তেমনটা হতেই পারে। আবার কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। সব দিক খেয়াল রেখে তার পরে মন দিন বাইরের টোটকায়।
সবার আগে যা খেয়াল করা জরুরি
পর্যাপ্ত ঘুম: চোখের নীচের কালচে ভাব কমানোর জন্য অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম খুব জরুরি।
আর্দ্র ভাব: শীতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
ঠান্ডা সেঁক: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের ফোলাভাব বা ক্লান্তি কাটাতে ঠান্ডা টি ব্যাগ (গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি) বা ঠান্ডা চামচ চোখের ওপর ১০ মিনিটের জন্য রাখুন।
সানস্ক্রিন: দিনের বেলায় বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই চোখের আশেপাশেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, কারণ সূর্যের তেজও কালচে দাগ সৃষ্টি করতে পারে।
১. আমন্ড অয়েল
আমন্ড তেল ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ডার্ক সার্কেল কমাতে ও ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে চোখের চারপাশে ২-৩ ফোঁটা আমন্ড তেল নিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। সারা রাত এটি রেখে দিন। সকালে উঠে হালকা ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বককে নরম ও ময়েশ্চারাইজ করে, যা শীতে খুব দরকার।
২. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। পরিষ্কার অ্যালোভেরা জেল সামান্য পরিমাণে নিয়ে চোখের নিচে আলতো করে ৫-৭ মিনিট ম্যাসাজ করুন। সারা রাত এটি রেখে দিতে পারেন। সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে চোখের নীচের কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. হলুদ, নারকেল তেল ও আমন্ড অয়েল
সামান্য কাঁচা হলুদ বাটা, কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল ও কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল ভাল ভাবে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চোখের নিচের কালো অংশে লাগিয়ে নিন। ১০-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে পুষ্টি দেবে এবং কালো ভাব কমাতে সাহায্য করবে।