খুশকি শুধু অস্বস্তিকর নয়, বিরক্তিকরও বটে। যখন তখন মাথা চুলকানো সমস্যা আছেই, তার উপর সেজেগুজে কোথাও যাওয়ার পর যদি জামার উপর সাদা গুঁড়োর মতো খুশকি ছড়িয়ে থাকে, তখন রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়। খুশকির সমস্যায় যাঁরা জেরবার তাঁরা বলবেন, খুশকি তাড়ানো সহজ নয়। বাজারচলতি তেল, শ্যাম্পু যতই থাকুক না কেন, কোনওটাই স্থায়ী সমাধান করতে পারে না। খুশকি হলে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া অবশ্যই সঠিক উপায়, তবে ঘরোয়া টোটকাও সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আরও পড়ুন:
নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলের জন্য অত্যন্ত ভাল। এতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ। মাথার চুলকানি, ছোটখাটো সংক্রমণ দূর করতে এই তেলও কিন্তু কার্যকর।
কর্পূর: পুজো-পার্বণে ব্যবহৃত কর্পূরের অনেক গুণ। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় খুশকি রোধে কাজ করে কর্পূর। ত্বক এবং চুলের ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিরোধেও তা সহায়ক।
কী ভাবে তৈরি করবেন তেল?
তপ্ত জলের মধ্যে একটি বাটিতে নারকেল তেল রেখে গরম করে নিন। সরাসরি আঁচে বসালে তেলের গুণ নষ্ট হতে পারে। হালকা গরম তেলে কর্পূর দিন কিছুটা। কর্পূর মিশে গেলে সেই তেল মাথার ত্বকে ভাল করে মাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুই বার এই টোটকা প্রয়োগ করলেই খুশকির সমস্যা কমবে।