ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় ভিটামিন এফ নিয়ে চর্চা হচ্ছে বেশি। কী এই ভিটামিন এফ? আদৌ কি ভিটামিন? ত্বকের জন্য কতটা ভাল?
আসলে ভিটামিন এফ হল দু’রকম ফ্যাটি অ্যাসিডের মিশ্রণ— লিনোলেয়িক অ্যাসিড (ওমেগা-৬) এবং আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩)। এই দুই ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের সুরক্ষাকবচ। দূষণ হোক বা অতিবেগনি রশ্মি, ত্বককে সব কিছু থেকে রক্ষা করতে পারে। পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্র রাখা, মৃতকোষ দূর করা, ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্জীবিত করা, শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জেল্লা ফেরানোর জন্যও এই দুই ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ভিটামিন এফের যথেষ্টই ভূমিকা রয়েছে।
ত্বকের কী কী উপকার করে ভিটামিন এফ?
১) স্নানের পরে ভিটামিন এফ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলে ত্বক নরম ও আর্দ্র থাকবে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হবে।
২) তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও উপকারী ভিটামিন এফ। ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা, যে কোনও রকম রকম র্যাশের সমস্যা দূর করতে পারে। ত্বকে সংক্রমণজনিত অসুখ হলেও ভিটামিন এফ ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বকের প্রদাহ কমে।
আরও পড়ুন:
৩) সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেবে ভিটামিন এফ। যে কোনও রকম ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ থেকেও বাঁচাবে।
৪) ত্বকের দাগছোপ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করবে। ভিটামিন এফ-এর দুই এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপও মুছবে।
ভিটামিন এফ কী থেকে পাওয়া যাবে?
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য নানা রকম সাপ্লিমেন্ট ও ক্যাপসুল আছে। কিন্তু যদি খাবারদাবার থেকে তা ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়, তা হলে লাভ বেশি। কারণ, সব ক্যাপসুল সকলের শরীরের জন্য কার্যকরী না-ও হতে পারে। শরীরে যে হেতু অন্যান্য ফ্যাটের মতো ওমেগা-৩ তৈরি হয় না, তাই খাবারদাবার থেকেই তা গ্রহণ করতে হয়। আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড গোত্রের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় কয়েক রকম সব্জি, সয়া ও ক্যানোলা তেলে। তিসির বীজে প্রচুর পরিমাণে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড আছে। চিয়া বীজ ও কাঠবাদামে থাকে ওমেগা-৩এস ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে পারে।
কালো সর্ষের মধ্যেও কিন্তু ভরপুর মাত্রায় থাকে ওমেগা-৩। বাঙালিদের রান্নায় সর্ষের ব্যবহার হয়ই। সর্ষে বাটা দিয়ে মাছ বা অন্যান্য নিরামিষ পদও রাঁধা হয়। এই সর্ষে যেমন রান্নার স্বাদ বাড়ায় তেমনই ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদাও পূরণ করে।