হালকা শীত পড়তেই ঘরে ঘরে রুক্ষ ত্বকের সমস্যা শুরু। সামান্য নখের আঁচড় লাগল কি লাগল না, ত্বকের উপর সাদা দাগ হয়ে গেল! আর সেই রুক্ষ ত্বক থেকে বাঁচতে নিত্য নতুন প্রসাধনী দাম দিয়ে কিনছেন অনেকেই। অথচ ত্বকের যত্নে তেলের জুড়ি মেলা ভার। অল্প খরচেই রুক্ষ ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে তেল।
তবে স্নানের আগে না পরে, কখন তেল মাখা ভাল?
তেল শুধু মাখলেই হবে না, তেল মাখার পরে ভাল করে মালিশ করতে হবে। তা না হলে তেল মাখার পরে স্নান করলে শরীর থেকে তেল বেরিয়ে যাবে। তবে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক থাকলে স্নানের পরে তেল মাখা উচিত। এতে শুষে যাওয়া জল বেরোতে পারে না অর্থাৎ ট্রান্স এপিডার্মাল ওয়াটার লস কম হয়। ফলে ত্বক কোমল ও মোলায়েম থাকে। আবার দাদ, হাজা হলে শুকনো অবস্থায় তেল লাগিয়ে স্নান করতে হবে। কারণ তেল লাগিয়ে স্নান করলে জল শুষে যায় না বলে চামড়া নরম হয় না। ফলে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় ছত্রাকের আক্রমণ বাড়তে পারে না।
সারা শরীরে সঠিক পদ্ধতিতে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। তেল মাখলেই তা রোমকূপের মধ্যে প্রবেশ করে ত্বকে পুষ্টি জোগায়। আর ত্বকের বাইরে এক প্রকার আস্তরণ তৈরি করে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, বাইরের আবহাওয়াও তেলের এই আস্তরণ ভেদ করে ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে টানও পড়ে না। বলিরেখাও পড়ে না। পাশাপাশি, ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল এবং টান টান।
নারকেল তেল থেকে আর্গন অয়েল, অলিভ অয়েল, হোহোবা অয়েল-সহ রকমারি তেল রয়েছে। তার মধ্যে থেকে বেছে নেবেন কোনটি? তবে তার আগে জানা প্রয়োজন, কোন তেলের কী কার্যকারিতা?
আর্গন অয়েল: ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আর্গন অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতেও তা সাহায্য করে।
নারকেল তেল: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ নারকেল তেল সারা বছরই ব্যবহার করা চলে। শুষ্ক ত্বকে জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে তেলটি। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
হোহোবা অয়েল: জবা ফুল থেকে তৈরি এই তেল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইলফ্লেমেটারি উপাদান। এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতেও সহায়ক।
আমন্ড অয়েল: ভিটামিন এ এবং ই-তে ভরপুর তেলটি ত্বক কোমল, আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
তাই আপনার সমস্যা বুঝে তার পরেই তেল বাছাই করুন।