বয়স যতই বাড়ুক, ত্বকের বয়স থমকে যাবে। বলিরেখাও উঁকি দেবে না যখন-তখন। বেশি বয়সেও তারুণ্যের দীপ্তি ধরে রাখতে নানা রকম থেরাপির চল হয়েছে এখন। এই সব ‘অ্যান্টি-এজিং’ থেরাপি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই তার বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। সকলের ত্বকের জন্য সব রকম থেরাপি মোটেই কার্যকর হবে না। সে দিক থেকে কম খরচে ও পরিশ্রমে ‘স্কিন স্ট্রিমিং’ করছেন অনেকেই। কী এই পদ্ধতি, জেনে রাখা ভাল।
দু’রকম থেরাপির খুব চল হয়েছে এখন— স্কিন স্ট্রিমিং ও স্কিন ফ্লাডিং। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে দু’রকম থেরাপিই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এখন জেনে নিতে হবে, স্ট্রিমিং ও ফ্লাডিং ব্যাপারটা কী। কাদের জন্য কোনটি বেশি ভাল।
স্কিন স্ট্রিমিং কারা করাবেন
স্ট্রিমিং কোনও জটিল ব্যয়বহুল থেরাপি নয়। ত্বকের পরিচর্যারই কয়েকটি ধাপ, যা নিজেও করা যেতে পারে। খুবই সাধারণ ত্বকচর্চার পদ্ধতি, যার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। স্ট্রিমিংয়ের তিন থেকে চারটি ধাপ রয়েছে— ক্লিনজ়িং, স্ক্রাবিং ও ময়েশ্চরাইজ়িং। এই প্রক্রিয়ায় মুখে খুব বেশি পরিমাণে সিরাম বা জেল লাগিয়ে মালিশ করা হয় না, তেল মালিশও করা হয় না।
ত্বকের জ্বালাপোড়া ক্ষত, ব্রণ-ফুস্কুড়ি বা র্যাশের সমস্যা কমানোর জন্যই স্ট্রিমিং করা হয়। এতে ত্বকের অস্বস্তি দূর হয়, রুক্ষ ত্বক নরম হয় এবং ত্বকের দাগছোপ, বলিরেখাও দূর হয়। স্ট্রিমিংয়ে কোনও রকম রাসায়নিকের প্রয়োগ হয় না, বদলে সাধারণ উপকরণ দিয়েই ত্বকের পরিচর্যা করা হয়। ত্বকের ধরন বুঝে ফেসপ্যাক বা ময়েশ্চারাইজ়ারের ব্যবহার হয়। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, র্যাশের সমস্যা বেশি, তাঁরা স্ট্রিমিং করালে উপকার পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
স্কিন ফ্লাডিং কী, কারা করাতে পারেন?
ফ্লাডিং হল স্ট্রিমিং-এর বিপরীত। এতে অনেক বেশি পরিমাণে প্রসাধনী ব্যবহৃত হয়। হাইড্রেশন মাস্ক থেকে শুরু করে, ত্বকের সিরাম, ক্লিনজ়ার, ময়েশ্চারাইজ়ার, স্ক্রাবার সব কিছুই ধাপে ধাপে ব্যবহার করা হয়। তেলের ব্যবহারও হয় এই ধরনের ত্বকের পরিচর্যায়। ফ্লাডিং-এ খুব দ্রুত বলিরেখা দূর করতে ও ত্বকের জেল্লা ফেরাতে হায়ালুরনিক অ্যাসিড ব্যবহার বেশি করা হয়।
ত্বক খুব রুক্ষ ও শুষ্ক হলে, ফ্লাডিং করা হয়। এতে হাইড্রেটিং মাস্কের ব্যবহার খুব বেশি হয়। চটজলদি ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করতে চান যাঁরা, তাঁরা ফ্লাডিং করাতেই পারেন। ত্বকের চামড়া কুঁচকে যাওয়া, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরাতে হলে ফ্লাডিং করানো যেতে পারে।