Advertisement
E-Paper

ব্লাশ, ব্রোঞ্জার পুরনো, চর্চা এখন ‘ব্লোঞ্জিং’ নিয়ে, জিনিসটি আসলে কী, ব্যবহারের নিয়ম শিখে নিন

মেকআপ জগতে ইদানীং চর্চা ব্লোঞ্জিং নিয়ে। বিষয়টি কী? তা কি সকলেই করতে পারে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:২৩
ব্রোঞ্জার নয়, চর্চা যখন ব্লোঞ্জিং নিয়ে। ছবিটা শাহরুখ কন্যা সুহানা খানের।

ব্রোঞ্জার নয়, চর্চা যখন ব্লোঞ্জিং নিয়ে। ছবিটা শাহরুখ কন্যা সুহানা খানের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

‘ম্যাট ফিনিশ’ লুকের বদলে ইদানীং ফিরতে শুরু করেছে ‘গ্লসি লুক’। তবে এখনকার গ্লসি মেকআপে থাকে না বাড়তি চকচকে ভাব। বরং মুখে লেগে থাকে এক স্বাভাবিক আভা, ঔজ্জ্বল্য, যা দেখলে মনে হবে এমন সৌন্দর্য একেবারেই নিজস্ব।আর এমন রূপটানের জন্যই দিনে দিনে কদর বাড়ছে ব্লাশ থেকে ব্রোঞ্জার, হাইলাইটারের।

হাসলেই গালে লালচে বা গোলাপি আভা খেলে যাবে— এমন রূপটান যেমন অনেকের পছন্দ, তেমনই কেউ কেউ চান মুখে লেগে থাকুক রোদে পোড়া তামাটে ভাব। তারকাদের মধ্যে এমন ধরনের মেকআপের কদর বাড়ছে দিনে দিনে। এক এক ধরনের মেকআপের জন্যই প্রয়োজন হয় এক একরকম প্রসাধনী। কখনও দরকার হয় ব্রোঞ্জার, কখনও ব্লাশ।

তবে এখন চর্চা ব্লোঞ্জিং নিয়ে। এক আন্তর্তাজিক প্রসাধনী সংস্থার হয়ে কাজ করা রূপটানশিল্পী লেলিয়া ফিনাও নিংসেন এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘‘এটি একটি বিশেষ ধরনের কৌশল যেখানে ব্রোঞ্জারের সঙ্গে মিশছে ব্লাশ। ব্রোঞ্জারের উষ্ণতা, ব্লাশের নরম ভাব দুই মিলমিশে ত্বকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এমন আভা যা দেখলে মনে হবে সবটাই যেন ত্বকের নিজস্ব রং। সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটাতে গেলে যে তামাটে বর্ণ হয়, সেটাই ফুটে উঠবে কপাল থেকে গালে।’’

একসময় স্নো-পাউডার মেখে নিজস্ব রঙের চেয়ে কয়েক পরত ফর্সা হওয়ার প্রবণতা এখন অতীত। মুখ সাদা করে দেওয়া ফাউন্ডেশনের ব্যবহারও ক্রমশ কমছে। বরং রোদে পোড়া তামাটে ভাব মুখে লেগে থাকুক সেটাই চাইছেন অনেকে। তৈরি হচ্ছে মেকআপের নতুন প্রবণতা।

প্রসাধনী ব্যবহারের পদ্ধতি।

প্রসাধনী ব্যবহারের পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত।

ব্রোঞ্জারের ব্যবহারও কিছুটা সেই কারণেই। সরাসরি সূর্যের আলো মুখে এসে পড়লে যে স্থানগুলিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে, সেখানেই ব্রোঞ্জার লাগানো হয়। কপালে, নাকের দু’পাশে গালের হাড় বা চিকবোনে। ফাউন্ডেশন লাগানোর ফলে মুখের খুঁত যেমন ঢেকে যায়, তেমনই ত্বকের বর্ণ পুরোটাই এক রকম দেখায়। ব্রোঞ্জার মুখে কিছুটা নাটকীয়তা আনে। রোদ লাগলে মুখ যেমন দেখতে লাগে, তেমন দেখাতেই সাহায্য করে ব্রোঞ্জার। কখনও আবার নিজস্ব বর্ণের চেয়ে গাঢ় শেডের ব্রোঞ্জার দিয়ে কিছুটা হলেও কন্টুরের কাজও করা যায়। এতে গাল, মুখ আরও নিখুঁত দেখায়।

ব্লোঞ্জ কী কাজ করে?

ব্রোঞ্জার এবং ব্লাশ দু’টি একসঙ্গে মিশিয়ে মাখলে যেটি হবে, সেটাই করে ব্লোঞ্জ। মুখে আনে অন্যরকম সৌন্দর্য। এটি ব্যবহারের পদ্ধতিও ব্রোঞ্জারের মতোই। তরল ব্লাশে কিছুটা ব্রোঞ্জার মিশিয়ে নিজের মতো ব্লোঞ্জ তৈরি করা যায়। দুই গালের মাঝে উঁচু হাড় থেকে চোখের পাশ পর্যন্ত তা লাগিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে দিতে হয়। ব্রোঞ্জারের সঙ্গে ব্লাশের হালকা রং মুখে বাড়তি আভা এবং সৌন্দর্য যোগ করে। এর ছোঁয়া নাকের ডগায় এবং কপালেও বুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যদি চান, গালে আলো পড়লে তা প্রতিফলিত হবে, তা হলে যোগ করা যেতে পারে হাইলাইটারও। দিন, রাতের অনুষ্ঠান এবং গায়ের বর্ণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্রোঞ্জার এবং ব্লাশের রং বাছাই জরুরি।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy