বছর ঘুরে পুজো এসেছে। ঘরে ঘরে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। কেনাকাটা প্রায় শেষের মুখে হলেও রূপচর্চা কিন্তু চলছে জোরকদমে। পার্লারগুলিতে পা ফেলার জায়গা নেই। সারা বছর ত্বকের তেমন যত্ন না নিলেও পুজোর সময় অনেকেই নিজেকে বদলে ফেলতে চান। ফেশিয়াল, ব্লিচ, মাসাজ— কম সময়ে ত্বকে জেল্লা সবই পরখ করে দেখে নেন সকলে। উৎসবের মরসুমে পার্লারের চৌকাঠ পেরোনো মানেই সারা দিন ওখানেই কেটে যাবে। সেই ভয়ে অনেকেই পার্লারমুখো হচ্ছেন না। পুজোর বাকি আর হাতেগোনা কয়েক দিন। পার্লারে গিয়ে সময় নষ্ট করতে না চাইলে ত্বকের জেল্লা আনতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনে।
আরও পড়ুন:
হলাসন
প্রথমে চিত হয়ে টানটান করে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া করে উপরে তুলে ধরে হাত দু’টি দিয়ে কোমর ধরে রাখুন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই পা কোমর থেকে ভাঁজ করে মাথার উপর দিয়ে নিয়ে গেয়ে পায়ের আঙুল মাটিতে স্পর্শ করান। এই ভঙ্গিতে শ্বাস-প্রশ্বাস অল্প অল্প করে নিন এবং ছাড়ুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময় পা দু’টি টানটান করে উপরের দিকে রাখুন। হাত কোমর থেকে সরিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। কোমর থেকে হাত সরিয়ে নিতম্ব মাটিতে ছোঁয়ান। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা মাটিতে রাখুন। এই আসনটি দিনে ২ থেকে ৩ মিনিট করুন। হলাসন শরীরে রক্তচলাচল সচল রাখে। ত্বকও ভিতর থেকে সতেজ এবং সজীব থাকে।
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময় শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন। ত্বকে আসবে উৎসবের জেল্লা।
হলাসন। ছবি: সংগৃহীত।
সর্বাঙ্গাসন
হলাসনের মতোই এই আসনটি করার জন্যে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে কোমর ও পা দু’টি উপরে তুলে ধরুন। এ বার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর উপর। কাঁধ, কোমর ও পায়ের পাতা যেন এক সরলরেখায় থাকে। বুকের সঙ্গে থুতনি স্পর্শ করে দৃষ্টি স্থির সরাসরি পায়ের পাতার দিকে স্থির রাখুন। কিছু সময় এই অবস্থায় থাকুন। মিনিট দুয়েক পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।