পুজোয় কোন রেস্তরাঁর মেনুতে কী চমক থাকছে? ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজোর ক’দিন অনেকেই বাড়িতে রান্নার পাট রাখেন না। ঠাকুর দেখার ফাঁকে রেস্তরাঁতেই ঢুঁ মারতে পছন্দ করেন। এক দিন পাড়ার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে, এক দিন পরিবারের সঙ্গে, অন্য দিনগুলি প্রিয়জনের সঙ্গে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন? তবে, কেবল ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করলে হবে না, আগে থেকেই স্থির করে রাখুন, ঠাকুর দেখার মাঝে কোথায় খাওয়াদাওয়াটা সারবেন। গোটা শহরের মতোই পুজো উপলক্ষে সেজে উঠছে কলকাতার রেস্তরাঁগুলিও। উত্তর থেকে দক্ষিণ— শহরবাসীর রসনাতৃপ্তিতে যাতে কোনও রকম খামতি না থাকে, রেস্তরাঁগুলিতে চলছে তারই প্রস্তুতিপর্ব। কলকাতার কোন দিকে ঠাকুর দেখতে গেলে কোথায় খাবেন, রইল তার সুলুকসন্ধান।
আমিনিয়া: দুর্গাপুজোয় বাঙালি বিরিয়ানি খাবে না, তা আবার হয় নাকি! ভাল বিরিয়ানির স্বাদ নিতে আমিনিয়ায় ঢুঁ মারতেই পারেন। শহর জুড়ে রয়েছে আমিনিয়ার একাধিক শাখা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, যেখানেই ঠাকুর দেখতে যান না কেন, আমিনিয়ার শাখা পেয়েই যাবেন। চিকেন কিংবা মটন বিরিয়ানি ছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের কবাব, রেজ়ালা, রোলের স্বাদ নিতে আমিনিয়ায় যেতেই পারেন। শেষপাতে ফিরনিটা না খেলে কিন্তু আফসোস করবেন। ৮০০ টাকার মধ্যেই দু’জনের খাওয়াদাওয়া হয়ে যাবে এই রেস্তরাঁয়।
চ্যাপ্টার ২: পুজোর চারটে দিনই তো আর বাঙালি খাবার কিংবা বিরিয়ানি খাবেন না! যদি অন্য রকম খাবার চেখে দেখার ইচ্ছে হয়, তা হলে সপরিবার চলে আসতে পারেন সাদার্ন অ্যভিনিউয়ের এই রেস্তরাঁয়। সি ফুড চাউডার, প্রন রিসোত্তো, হয়সিন গ্লেজ়ড স্যামন, পর্ক চপ, পর্ক ভিন্ডালু, ক্লাসিক ল্যাম্ব স্টেক সিজ়লার থেকে তিরামিসু, চিজ় কেক, ব্রাউনি উইথ ভ্যানিলা আইসক্রিম— সবই পাবেন এখানে এলে। দু’জনের জন্যে খরচ ১৫০০ টাকা। তবে, কর অতিরিক্ত। বাড়িতে বসে খেতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগ তো রয়েছ
অওধ ১৫৯০: সঙ্গে যে-ই থাকুক, পুজোয় বিরিয়ানি খাওয়া হবে না, তা কি হয়? বিরিয়ানি বললেই তো লখনউয়ের কথা, নবাবি ঘরানার কথা মনে পড়ে। কলকাতায় বসে এই লখনউ ঘরানার বিরিয়ানি অওধ ছাড়া আর কোথায় পাবেন? তবে সেখানে যাওয়ার আগে জেনে নিন, পুজোর মেনুতে কী কী থাকবে? বিরিয়ানির বিপুল সম্ভার যেমন থাকবে, তেমন নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁদের জন্যেও নানা রকম পদ থাকবে। মুর্গ জ়াফরানি, মুর্গ কালি মির্চ, ঝিঙ্গা তন্দুরি, গলৌটি কবাব, অওধ স্পেশাল রান বিরিয়ানি তো রয়েছেই, সঙ্গে থাকছে ফিরনি, শাহি টুকরার মতো শেষপাতে মিষ্টিমুখের আয়োজন। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ১৩০০ টাকার আশপাশে। ভিড় এড়াতে চাইলে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে খাবার আনিয়ে বাড়িতে বসেও খেতে পারেন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এবং শহরতলিতেও রয়েছে এই রেস্তরাঁর শাখা।
পেপরিকা গরমে: দুর্গাপুজোয় ফিউশন খাবারের খোঁজ করছেন? বাড়িতে বসেই খাবার আনিয়ে নিতে পারেন লাউডন স্ট্রিটের এই ঠিকানা থেকে। পুজো স্পেশ্যাল মেনুতে বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে একটু টুইস্টের সঙ্গে। বিরিয়ানি থেকে ফিউশন লাড্ডু, রসমালাই ডিস্ক থেকে বাঙালি ট্যাকো... চেখে দেখতেই পারেন বাহারি সব পদ। অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপে খোঁজ করলে পেপরিকা গরমে-র হদিস পাবেন।
হার্ড রক ক্যাফে: পুজোতেও চাই পার্টির মেজাজ? তা হলে আসতে পারেন পার্ক স্ট্রিটের এই ঠিকানায়। সুরাপানের পাশাপাশি এদের মেনুতে পেয়ে যাবেন বাহারি সব পদ। হায়দরাবাদি বিরিয়ানি, মালাবার কারি, তাওয়া রোল, পনির বাটার মশলা, কাসুন্দি ভেটকি, অরেঞ্জ টাকিলা প্রন এদের মেনু থেকে চেখে দেখতে পারেন। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ২০০০ টাকার মতো।
হায়াত সেন্ট্রিক: পুজোয় ভাল ব্যুফে পাবেন, এমন ঠিকানার খোঁজ করছেন? গড়িয়াটের হায়াত সেন্ট্রিকের যাযাবর রেস্তরাঁটিকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। এদের ব্যুফেতে পেয়ে যাবেন পোলাও, কষা মাংস, কলকাতা স্টাইল বিরিয়ানি-সহ আরও অনেক কিছু। এই রেস্তরাঁয় গেলে জন পিছু ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা খরচ পড়বে। পুজোয় প্রিয়জনকে নিয়ে হায়াত সেন্ট্রিককে স্টেকেশনের পরিকল্পনাও সারতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রাতরাশ ও দুপুরের খাওয়াদাওয়া-সহ দু’জনের খরচ পড়বে ৮৪৯৯ টাকা।
ইওচা: প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে কমবেশি সকলেই ভালবাসেন। পুজোর ভিড় এড়িয়ে কেউ নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। কারও কাছে আবার খাওয়াদাওয়াটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্য ভাল রেস্তরাঁর খোঁজ করছেন? গন্তব্য হতে পারে পার্ক সার্কাসের ইওচা। এশীয় খাবার পছন্দ হলে কোয়েস্ট মলের এই রেস্তরাঁটি কিন্তু প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর পছন্দের ঠিকানা হতেই পারে। চিকেন ডাম্পলিং, প্রন ডাম্পলিং, স্মোকড চিকেন ওপেন বাও, সেজ়ুয়ান ফিশ, ফুকেন ক্র্যাব রাইস, চিজ় কেক— এই রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারলে এই পদগুলি চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন। দু’জনের খরচ পড়বে প্রায় ৩০০০ টাকা মতো।
অ্যাম্ব্রোশিয়া: পুজোয় বাঙালি খাবার চাই-ই চাই? তা হলে এক বার ঢুঁ মারতে পারেন হাজরা রোডের অ্যাম্ব্রোশিয়ায়। মুচমুচে শিঙাড়়া থেকে বাসন্তী পোলাও, আলুরদম, ধোঁকার ডালনার সঙ্গে পাবেন ঢাকাই পরোটা আর চচ্চড়ি। এ ছাড়াও এদের মেনুতে থাকছে আরও বেশ কিছু বাহারি বাঙালি পদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy