যতই ঘরের বাইরে দোল উৎসব হোক না কেন, অন্দরেও তার আঁচ এসে পড়ে। যতই বারণ করা হোক না কেন, দস্যি শিশুদের কি আটকানো যায়! কোন ফাঁকে তারা ঘরে রঙের বেলুন ছুড়ে দেবে কেউ বলতে পারে না। আবার পিচকারির ছোড়া রঙে বাইরের দেওয়ালও রঙিন হয়ে যেতে পারে।
উৎসবের আবহে এ সব আটকানো যায় না। বরং জেনে নিন ঘরের ভিতরে বা বাইরে রঙের ছিটে, দাগ তুলবেন কী ভাবে?
মেঝে: দোলোৎসবে বড়দের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম দেওয়ার রেওয়াজ আছে। আবার বড়রাও ছোটদের আশীর্বাদ করে মাথায় আবির দেন। আর এই কাজ করতে গিয়ে বারান্দা হোক বা ঘর, মেঝে আবিরে ভরে যায়। আবির পরিষ্কার করার সময় জল না দিয়ে মাইক্রোফাইবার ক্লথ বা ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিন। আবিরে জল পড়লে সেই রং ঘরময় হবে। কাপড় দিয়ে আবির মুছে নিয়ে, তার পর সাবানজল দিয়ে ঘর মুছে নিতে পারেন।
শুধু আবির নয়, রং খেলে বাড়িতে ঢুকলে জামা থেকে টপ টপ করে জলে গোলা রংও ঝরে পড়ে অনেক সময়। সাদা মার্বেলের মেঝে হলে রং ধরে যায় দ্রুত। এ ক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে, দ্রুত সাবান জল দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করে নিন। ব্যবহার করতে পারেন মেঝে পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত অ্যাসিড জাতীয় কোনও দ্রবণ।
আরও পড়ুন:
দেওয়াল পরিষ্কার: বাড়ির বাইরের পাঁচিল হোক বা দেওয়াল, রং লেগে গেলে চিরপরিচিত সাবান-জল আর ঝাঁটাই কাজে আসতে পারে। তবে ঘরের কোনও দেওয়ালে রঙের ছিটে লাগলে, ভিজে কাপড় দিয়ে তা মুছে নিন। দেওয়ালে কোনও রকম রাসায়নিক ব্যবহার করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বদলে দেওয়ালে যে ধরনের রং রয়েছে তার উপযোগী কোনও দেওয়াল পরিষ্কার করার দ্রবণ কিনতে পারেন।
আসবাবপত্র এবং কাচের জানলা: কাঠের আসবাবপত্রে কেউ রং হাতে ধরে ফেলতে পারেন আবার পিচকারি থেকে ছোড়া রং লাগতে পারে কাচের জানলায়। অ্যামোনিয়া যুক্ত কোনও ক্লিনার দিয়ে জানলার কাচ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। আসবাব থেকে রং তুলতে কাঠে ব্যবহার করা যায় এমন কোনও দাগ তোলার তরল বেছে নিতে পারেন।
আগাম প্রস্তুতি: রং লেগে গেলে তা তোলা শ্রমসাধ্য। বদলে আগে থেকেও সাবধান হওয়া যায়। বারান্দায় কোনও চেয়ার, টেবিল বা সোফা থাকলে সেগুলি বড় কোনও পর্দা, অথবা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। বারান্দায় ওই দিন সুদৃশ্য কোনও দেওয়ালসজ্জাও না রাখাই ভাল। ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখুন।
ঘর, আসবাব পরিষ্কারের জন্য হাতের কাছে স্পঞ্জ, মাইক্রোফাইবার ক্লথ রাখুন। রং লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করে ফেললে চট করে দাগ পড়বে না।