দিনভর রং খেলা। বিকালে বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা। কিন্তু ঘর সাজাবেন কী ভাবে? দৈনন্দিন কাজ সামলানোর পর শৌখিন ভাবে অন্দরসজ্জার সময় থাকে না অনেকেরই। তবে চাইলে রঙের উৎসবে রঙের ছোঁয়ায় ভোল বদলে ফেলতে পারেন বৈঠকখানা থেকে শোয়ার ঘরের।
১. দেওয়াল সাজাতে পারেন রঙিন শিল্পকর্মে। উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে হাতে আঁকা ছবি ঘরে অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে। গ্লাস পেন্টিং, দেওয়ালসজ্জায় বেছে নিতে পারেন অ্যাপ্লিকের কাজ করা ‘ছান্ডুয়া’। কাপড়ের উপর সুতোর নকশা করা দেওয়ালসজ্জাও ঘরের রূপ বদলে দিতে পারে।

২. জানলার পর্দা এবং কুশনের ঢাকনাতেও রাখতে পারেন রঙিন ছোঁয়া। অ্যাপ্লিকের কাজ করা বা একটু সোনালি সুতো কাজ করা কুশনের ঢাকা দোলের গৃহসজ্জায় মানানসই হতে পারে। আবার লেসের কাজ করা কুশনও বেছে নিতে পারেন। জানলায় একাধিক রঙের পর্দা ঝোলাতে পারেন। সেগুলি একরঙা হলেও দেখতে ভাল লাগবে। যেমন চওড়া জানলার ক্ষেত্রে মাঝে সাদা পর্দা রেখে দু’পাশে নীল রঙের পর্দা ঝোলাতে পারেন। আবার মাঝে নীল রেখে হালকা রঙের পর্দা দু’পাশে রাখতে পারেন।
৩. অনেক বাড়িতেই দোলপূর্ণিমায় পুজো হয়। সে ক্ষেত্রে বৈঠকখানা থেকে ঠাকুরঘর পিতলের শৌখিন বাসন, জলভরা পাত্রে রকমারি ফুল সাজিয়ে রাখতে পারেন। ফুলের সঙ্গে ভাসমান জ্বলন্ত মোমবাতি রাখলেও বেশ মানাবে। ফুলদানিতে টাটকা ফুল রাখলেও ঘরের পরিবেশ বদলে যাবে।
৪. দীপাবলিতে বহু অবাঙালি বাড়িতেই রঙ্গোলি দেওয়ার রেওয়াজ থাকে। সেই শিল্পকলা কাজে লাগাতে পারেন রঙের উৎসবেও। সাদা মার্বেলের মেঝেতে সুন্দর করে রঙ্গোলির নকশা ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তার সঙ্গে ফুল এবং প্রদীপের ব্যবহারে অন্দরসজ্জা হয়ে উঠবে আকর্ষক।
৫. খোলা বারান্দা থাকলে অবশ্যই সেই জায়গাও সাজিয়ে নিন। টেরাকোটার লণ্ঠন, বিভিন্ন রঙের আলো, ফুলগাছের বাহার চোখে পড়বে সকলেরই। আরামদায়ক সোফা বা গদি পেতেও সেখানে আড্ডার ব্যবস্থা করতে পারেন।