মদ্যপানের খোঁয়াড়ি কাটবে আধ্যাত্মিক টোটকায়? ছবি- সংগৃহীত
মানুষের দেহ নাকি স্পঞ্জের মতো। চারদিক থেকে শক্তি শুষে নিতে থাকে। মদও তার ব্যতিক্রম নয়। কাজেই মদের মধ্যে নিহিত শক্তি মানবদেহে প্রবেশ করলেই তৈরি হয় নেশার ঘোর। এই শক্তি যদি মাটিতে পাঠিয়ে দেওয়া যায় তা হলেই আর মদ খেলেও পরের দিন হ্যাংওভার বা খোঁয়াড়ির সমস্যা হবে না। এমনই দাবি করলেন আমেরিকার এক স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু।
আমেরিকার ওয়াশিংটনের বাসিন্দা নিকোল মেরিলিন টিকটকে নিজেকে পরিচয় দেন ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ বলে। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার অনুরাগী তাঁর। সম্প্রতি নিকোল মদের খোঁয়াড়ি কাটানোর জন্য তিনটি টোটকা দেন। কী সেই টোটকা? নিকোলের দাবি, প্রথমে মনে মনে মদের গ্লাসের চারদিকে একটি প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। তার পর মনে মনে কল্পনা করতে হবে, সেই গ্লাস থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর শক্তি মাটিতে নেমে যাচ্ছে। শেষ ধাপে একটি চামচ দিয়ে গ্লাসের মদ ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে তিন বার নাড়াতে হবে। চামচ নাড়ানোর সময় মনে মনে বলতে হবে আপনি কেন মদ খাচ্ছেন, তার কারণ। এই তিনটি টোটকা মেনে চললেই আর মদ খাওয়ার পর খোঁয়াড়ির ঝঞ্ঝাট থাকবে না।
নিকোলের দাবি, তিনি খুব বেশি মদ খান না। কিন্তু যখন মদ্যপান করেন, তখন এই নিয়মগুলি মেনে চলেন। আর তাতেই নাকি পরদিন ঘুম থেকে ওঠার পর কোনও রকম খোঁয়াড়ি বা হ্যাংওভার থাকে না তাঁর। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর এই ভিডিয়ো। কেউ কেউ তাঁর এই টোটকাগুলিকে সাধুবাদ জানালেও, ভিডিয়োটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের একটি বড় অংশের মতে, এটি ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছুই নয়। গোটা বিষয়টির পিছনে আধ্যাত্মিকতা বা বিজ্ঞানচেতনা কিছুই নেই বলেও কটাক্ষ করেছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy