গভীর চুম্বনে ঠোঁটের যে উষ্ণতা, নড়াচড়া বা চাপ অনুভূত হয়, তা-ও পাওয়া যাবে অবিকল একই রকম ভাবে। ছবি: সংগৃহীত
প্রিয়জন দূরে থাকেন? ফোনের ও পার থেকে চুম্বনে মন ভরে না? তবে আর চিন্তা নেই! এমন যুগলদের কথা চিন্তা করেই চিনের সাংঝাউ প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কার করেছে এমন একটি চুম্বন যন্ত্র। যা দুই প্রান্তে থাকা যুগলদের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তগুলিকে আরও নিবিড় করে তুলতে পারে। দিতে পারে ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ানোর উষ্ণতাও।
পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে থাকা যুগলদের কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে এই ‘কিসিং ডিভাইজ়’। অবিকল ঠোঁটের আকারে তৈরি সিলিকনের এই যন্ত্রটিতে রয়েছে ‘প্রেশার সেন্সর’ এবং ‘অ্যাকিউরেটর্স’ যা ব্যবহারকারীকে একেবারে আসল ঠোঁটের স্পর্শ দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, গভীর চুম্বনে ঠোঁটের যে উষ্ণতা, নড়াচড়া বা চাপ অনুভূত হয়, তা-ও পাওয়া যাবে অবিকল একই রকম ভাবে। এই যন্ত্রের আবিষ্কারক জ়িয়াং জ়ংগলি জানান, তিনি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন। তিনি এবং তাঁর দীর্ঘ দিনের বান্ধবী দেশের দুই প্রান্তে থাকতেন। তাই তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে একমাত্র ফোনই তাঁদের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিল।
ব্যবহারকারীকে শুধু তাঁর ফোনে একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে। তার পর ওই ফোনের চার্জ দেওয়ার পোর্টে যন্ত্রটি গুঁজে দিয়ে, করতে হবে ভিডিয়ো কল। যখন প্রয়োজন ওই যন্ত্রে মুখ দিয়ে চুম্বন করার মতো ভঙ্গি করলেই হবে। শুধু তাই নয়, চাইলেই দূরত্ব বজায় রেখে, সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে থেকেই অচেনা যে কোনও ব্যক্তিকে চুম্বনের স্বাদও নিতে পারবেন ব্যবহারকারী।
যদিও ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ার একটি সংস্থা এই একই ধরনের সিলিকন দিয়ে তৈরি ‘টাচ-সেনসিটিভ’ সিলিকন প্যাড তৈরি করেছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কিসিংগার’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy