কর্মীদের মনের কথা ভাবল সংস্থা
মনখারাপ হলেও এ বার অফিস থেকে ছুটি মিলবে! ভাবছেন তো, এই সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে কোন সংস্থা? সম্প্রতি চিনের এক সংস্থা ঘোষণা করেছে যে, তাদের কর্মীরা মনখারাপ হলেও ছুটি নিতে পারেন। প্যাং ডং লাইয়ের কর্ণধার ইউ ডংলাই সদ্য ঘোষণা করেছেন মন মেজাজ ভাল না থাকলে তাঁর কর্মীরা ১০ দিন পর্যন্ত ছুটি নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘এমন অনেক সময় আসে, যখন আমাদের মনখারাপ হয়, তাই মন ভাল না থাকলে অফিসে আসার দরকার নেই।’’
অফিসের কাজ, ব্যস্ততা, বাড়ির দায়িত্ব, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, প্রিয়জনের সঙ্গে খুনসুটি, বেতন পেয়েই নিজের জন্য চুটিয়ে কেনাকাটা করা— এত কিছুর মাঝেও এক ফাঁকে জাঁকিয়ে বসে মনখারাপ। মনের কোণে জমা হয় মেঘ। মনখারাপের নেপথ্যে যে সব সময়ে বড় কোনও কারণ থাকে, তা-ও নয়। কিন্তু মন জুড়ে তখন শুধুই বিষাদ। মন যে কেন হঠাৎ হঠাৎ বিগড়ে যায়, কোথায় তার উৎস, সে খোঁজা বড় কঠিন বিষয়। কিন্তু মনখারাপ হলে যখন চারদিকে কুয়াশা হয়, ব্যাকুল হয়ে ওঠে তিস্তা, ঠিক সেই সময়ে কাউকে মনের খবর দিতে ইচ্ছা করে। শরীর খারাপের কথা যতটা অবলীলায় বলে ফেলা যায়, মনের ভালমন্দের কথা ঠিক সে ভাবে বলতে পারেন না অনেকেই। তাই মনখারাপের জন্য ছুটি চাওয়ারও উপায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই সংস্থার অভিনব পদক্ষেপটির চারদিকে বেশ প্রশংসা হচ্ছে। ইউ ডংলাইয়ের মতে, কর্মীরা কখন ছুটি নেবেন সেই স্বাধীনতা তাঁদের দেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘কর্মীরা ন্যায্য কারণে ছুটি চাইলে ম্যানেজমেন্ট কখনওই তা অস্বীকার করতে পারে না।’’
সংস্থার নীতি অনুসারে, কর্মচারীদের প্রতি দিন সাত ঘণ্টা কাজ করতে হবে। সপ্তাহান্তে ছুটি থাকবে। চান্দ্র বর্ষারম্ভে পাঁচ দিনের ছুটি-সহ বছরে ৩০ থেকে ৪০ দিনের ছুটি নিতে পারবেন কর্মচারীরা। ইউ ডংলাই বলেন, ‘‘আমরা বড় হতে চাই না। আমরা চাই আমাদের কর্মচারীরা সুস্থ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করুক, তা হলেই প্রতক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সংস্থার উন্নতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy