রান্নাঘর পরিষ্কারের সময়ে অনেকেরই সমস্ত মনোযোগ চলে যায় কেবল গ্যাস অভেন, বাসনের তাক এবং কাউন্টার টপের দিকে। উপেক্ষিত থেকে যায় সিঙ্ক। কিন্তু এঁটো বাসন পরিষ্কার করার জায়গাই যদি অপরিষ্কার থাকে, তা হলে সে হেঁশেলের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রশ্ন উঠতে পারে। রান্নাঘরের সিঙ্কেই সবচেয়ে দ্রুত ময়লা জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু পরিষ্কার না করলে বাসনে জীবাণু জমে যেতে পারে। কেবল সাবান দিয়ে সিঙ্ক পরিষ্কার করলে কখনওই সম্পূর্ণ দাগ তোলা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যকর সিঙ্ক পেতে তাই সহজ কয়েকটি পন্থা মেনে চললেই হবে।
কী কী দিয়ে পরিষ্কার করবেন সিঙ্ক? ছবি: সংগৃহীত।
সিঙ্ক পরিষ্কারের ৫টি কৌশল—
১. টুথপেস্টের সাহায্যে সিঙ্ক থেকে জেদি দাগ তোলা সম্ভব। পাশাপাশি, জীবাণুনাশেও কাজে আসতে পারে টুথপেস্ট। অল্প পরিমাণ পেস্ট স্ক্রাবে মাখিয়ে গোটা সিঙ্ক ঘষে নিলেই হবে। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ম্লান হয়ে যাওয়া সিঙ্ক ফের ঝকঝকে করে তুলতে এটি কার্যকর।
২. আপনার রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে যদি দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে, জীবাণুর বাসস্থান হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে এক বালতি জলে ২ চা চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে সিঙ্কে ঢেলে দিন। ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দুর্গন্ধ দূর করে জীবাণু নাশ করবে সিঙ্ক।
৩. সিঙ্কের ধাতব আস্তরণের হাল ফেরানোর জন্য আলুর খোসা দিয়ে ঘষে নিতে পারেন। আলুর খোসার স্টার্চ পালিশের কাজে আসতে পারে। শেষে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. বাসন মাজার তরল সাবানে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে স্ক্রাব করে নিন সিঙ্ক। নাছোড় দাগছোপ দূর করে চকচকে ভাব আনতে পারে পুরনো সিঙ্কে।
৫. যে পদ্ধতিতেই সিঙ্ক পরিষ্কার করুন, শেষে যদি এক ফোঁটা নারকেল তেল মাখিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে সিঙ্কে সহজে ময়লা বসবে না। তবে কাচের বাসন রাখার সময়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যেন পিছলে গিয়ে ভেঙে না যায়। কিন্তু এর ফলে না বসবে জলের দাগ, না পড়বে ময়লার ছোপ।