Advertisement
E-Paper

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি? পুষ্টির জোগানে এ সব বিকল্প রাখুন খাবারের তালিকায়

শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে তা গরুর দুধ এবং মায়ের দুধ— দু’টি থেকেই হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:০২
দুধ খেলেই অ্যাসিডিটি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।

দুধ খেলেই অ্যাসিডিটি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।

ডিম, চিংড়ি ও বেগুন থেকে অ্যালার্জি হলে সে সব না হয় বাদ দেওয়া গেল। সে সব বাদ দিয়ে খাদ্যতালিকায় তাদের বিকল্প কিছু যোগ করলে এ সব খাবারের পুষ্টিগুণের জোগানও মিটে যায়। কিন্তু অবস্থা জটিল হয় দুধ থেকে অ্যালার্জি হলে। দুধ এমন একটি খাবার, যার পুষ্টিগুণ অন্য বিকল্প খাবার থেকে খুব একটা মেলে না। আবার শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে তা গরুর দুধ এবং মায়ের দুধ— দু’টি থেকেই হতে পারে। ফলে স্তনপান না করায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এ ছাড়া সকলের ক্ষেত্রেই দুধের পাশাপাশি দুগ্ধজাত খাবার থেকেও এই একই সমস্যা হচ্ছে কি না সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। দুধ খেলেই অ্যাসিডিটি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় কখনও। ক্রনিক পেট খারাপের শিকারও হতে পারেন। দেখা যায়, দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবার খাওয়া বন্ধ করলে সমস্যাও মিটে যায়। মূলত ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এবং মিল্ক প্রোটিন অ্যালার্জি, এই দুই প্রবণতা থেকেই এমনটা হয়।

ডায়েটিশিয়ান সুমেধা সিংহের মতে, “দুধ থেকে অ্যালার্জি হওয়া মানে যে দুগ্ধজাত সব কিছু থেকেই সমস্যা আসবে, এমন নয়। অনেকেরই দুধে সমস্যা এলেও দই, পনিরে তেমনটা হয় না। সে ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছন্দে খেতে পারেন সে সব। তবে দুগ্ধজাত যে কোনও উপাদানে সমস্যা তৈরি হলে সে সব বন্ধ করে দেওয়া দরকার। বরং তার বদলে সোয়াবিন, টোফু, ডাল ইত্যাদির পরিমাণ বাড়িয়ে সেই ঘাটতি ঢাকার চেষ্টা চালানো হয়। পশুর দুধ ও দুগ্ধজাত উপাদানে সমস্যা হলে আমন্ড মিল্ক, সয় মিল্ক বা নারকেলের দুধ খাওয়া যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে অ্যাডেড সুগার ও প্রিজারভেটিভের ক্ষতির শিকার করতে হয়। তবে এ সব ক্ষতি মানতে না চাইলে ক্ষতিহীন কিছু বিকল্প আছেই।’’

কী কী বিকল্পে বাজিমাত

• দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা থাকলে প্রোটিনের জোগান ও ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক ও ডায়েটেশিয়ানের সম্মতি থাকলে হোয়ে প্রোটিন খেতে পারেন।

• দুধের সমমানের পুষ্টি অন্য কোনও খাবার থেকে মেলে না। তবু পাতে মাছ-মাংস-ডিম, সয়াবিন ও মুসুর ডালের পরিমাণ বাড়িয়ে কিছুটা ঘাটতি লাঘব করা যায়।

• দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে অসুবিধা থাকলে মিষ্টি ও আইসক্রিমও না খাওয়াই ভাল। পরিবর্তে ভেগান আইসক্রিম বা সয় মিল্ক বা আমন্ড মিল্কের মিষ্টি খান।

• সয় মিল্ক দিয়ে তৈরি টোফু রাখতে পারেন খাবার তালিকায়।

Milk Protein Lactose Intolerance Milk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy