রজ্জু কর্ষণাসন
সংষ্কৃতে ‘রজ্জু’-র অর্থ ‘দড়ি’, ‘কর্ষণ’ মানে ‘টানা’। দড়ি টানার ভঙ্গিতে এই আসন করা হয়। যাঁরা নতুন ভাবে আসন করা শুরু করছেন, তাঁদের কাছে এটি শুরুর আসন, বেশ সহজ এবং আরামদায়ক।
কী ভাবে করব?
• ম্যাটের উপর সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে দুই পা ছড়িয়ে দিন। শিরদাঁড়া সোজা রেখে আরাম করে বসুন।
• সামনে তাকিয়ে মনে মনে ভাবুন যে আপনার সামনে একটি দড়ি ঝোলানো আছে।
• এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে ডান হাত কানের পাশ থেকে মাথাও উপরে তুলুন। অদৃশ্য কোনও দড়িকে ধরার ভঙ্গি করুন। কনুই ও হাত যেন সোজা থাকে। উপরে হাতের মুঠোর দিকে তাকান। বাঁ হাত বাঁ পায়ের হাঁটুর উপর সোজা করে রাখুন।
আরও পড়ুন: ৩৯তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ডান হাতে দড়ি ধরে হাত নীচের দিকে নামাতে থাকুন। চোখের দৃষ্টি থাকবে দড়ি ধরা হাতের দিকে। উপর থেকে নিচে তাকান।
• ডান হাত ডান পায়ের উপর রেখে শ্বাস টানতে টানতে একই ভাবে বাঁ হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলে দড়ি ধরুন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাম হাত নিচে নামান। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল।
• এই ভাবে পর্যায়ক্রমে ডান ও বাঁ হাত দিয়ে অদৃশ্য রজ্জু টেনে আসন অভ্যাস করুন ৫–৭ বার।
• মনে রাখবেন, কনুই থেকে হাত যেন কোনও অবস্থাতেই ভাঁজ না হয়, চোখের দৃষ্টি থাকবে হাতের ওঠা-নামার উপর। নির্দিষ্ট ছন্দে হাতের ওঠা-নামার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
আরও পড়ুন: ৩৮তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব?
এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে কাঁধের অস্থিসন্ধিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। যাঁরা নাগাড়ে বসে কম্পিউটারে কাজ করেন বা ল্যাপটপ ব্যাগ ও ভারী জিনিস বহন করে কাঁধের ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা ও ফ্রোজেন শোল্ডারে ভুগছেন তাঁদের জন্য আসনটি অত্যন্ত উপযোগী। এই আসন অভ্যাস করলে বুকের পেশী সুগঠিত হয়। ছন্দোবদ্ধ ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ায় দৈনিক জীবনের স্ট্রেস ও টেনশন কমে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)