মুড়িমাখা হতে পারে বিকেলের জলখাবার।
বিকেল: বিকেলের খাবার নিয়েই বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। অন্য সময়ের মতো, চপ-কাটলেট বা ফুচকা-আলুকাবলির দিন এখন নয়। ফাস্ট ফুড বন্ধ হয়ে যদিও এক দিকে শরীরের কিছুটা উপকার হয়েছে। তাই পেট ভরাতে বিকেলেও মন দিন দরকারি পুষ্টিগুণের খাবারে। বাড়িতে গোটা মুগ বা ছোলা থাকলে সারা রাত ভিজিয়ে কল বার করে নিন। এবার পেঁয়াজ, টম্যাটো, শসা, লেবুর রস, নুন, কাঁচা লঙ্কা, একটু ধনেপাতা মিশিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিন। তাতে দু’-চার টুকরো সেদ্ধ আলু পড়লে তো কথাই নেই। মুগ/ছোলা না থাকলে বাদাম দিয়েও বানাতে পারেন।
ঘরে মুড়ি আছে বা শুকনো খোলায় ভাজা চিড়ে? তাতে অল্প বাদাম বা ছোলা, একটু পেঁয়াজ, টম্যাটো, শসা, লেবুর রস, নুন, কাঁচা লঙ্কা, একটু ধনেপাতা মিশিয়ে মেখে নিন। চায়ের সঙ্গে ভালই লাগবে। মুড়ি মচমচে রাখতে চাইলে শসা দেবেন না। কখনও মুখ বদলাতে বাড়িতে বানানো হালকা চাউমিনও চলতে পারে। তবে তা অবশ্যই পরিমাণে কম।
রাত: এই পরিস্থিতিতে রুটি-সব্জি বা রুটি-চিকেন খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। তবে কম পরিশ্রমেই রাতের খাবারে একটু রকমফের আনতে চাইলে রইল নানা বিকল্প।
ছোট ছোট করে বিনস ও গাজর কেটে অল্প সর্ষের তেলেই কম আঁচে সতে করুন। অল্প টম্যাটো দিন। ডিম ফেটিয়ে দিয়ে ঝুড়ো বানিয়ে তাতে দিয়ে দিন। এ বার এতে যোগ করুন ওবেলার বেঁচে যাওয়া ভাত। ভাল করে নেড়েচেড়ে স্বাদ মতো নুন, লঙ্কা, চিনি ও ধনেপাতা মিশিয়ে খেয়ে নিন। ডিমের বদলে সেদ্ধ চিকেনও দিতে পারেন।
রুটি-তরকারি বা ডাল-ভাত-সব্জি-মাছ এ সব খেতে ইচ্ছে না হলে মাঝেমধ্যে রুটির রোল বানাতে পারেন। পরোটার রোলের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। একটা কি দুটো ডিম, পেঁয়াজ, শসা ও টমেটো দিয়ে।
মোদ্দা কথা হল, এমন ভাবে খেতে হবে যাতে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুই-ই বজায় থাকে। রসনার খাতিরে স্বাস্থ্যকে অবহেলা করার সময় এটা নয়। ইচ্ছে হলে নেট ঘেঁটে এ রকম আরও অনেক সহজ রেসিপি দেখে নিতে পারেন। মাঝেমধ্যে সে সব চেষ্টা করে দেখলে সময় যেমন কাটবে, খাবারেও বৈচিত্র আসবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)