আকর্ণ ধনুরাসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
আকর্ণ ধনুরাসন
এই আসনটির শব্দগত অর্থ কানের দিকে ধনুকের মতো ভঙ্গিমা। কিন্তু আসল অর্থ তীরন্দাজ ভঙ্গী, তীরন্দাজ তীর ছোড়ার আগের মুহূর্তে এই ভাবে দাঁড়ান। এই আসন মুহূর্তে মন একাগ্র করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে করব
· ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মাঝে কিছুটা ফাঁক থাকবে দুই কাঁধের দূরত্বে। এ বারে সামনের দিকে ডান পা বাড়ান। ডান হাত মুঠো করে ডান পায়ের সোজাসুজি চোখের উচ্চতা থেকে সামান্য ওপরে তুলুন।
· এ বারে বাম হাত মুঠো করে ডান হাতের সামান্য পেছনে আনুন। মনে মনে চিন্তা করুন আপনি ডান হাতে একটি ধনুক ধরে আছেন। এ বারে ডান হাতের দিকে তাকান, কোনও কল্পিত লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন। এটি আসন শুরুর ধাপ।
· ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে মুষ্ঠিবদ্ধ বাম হাত ধীরে ধীরে কানের কাছে নিয়ে আসুন। দুই হাত এমন ভাবে টানটান করুন যেন মনে হয় আপনি ধনুকের ছিলায় টান দিচ্ছেন। ঘাড় সামান্য পেছনে হেলিয়ে দিন, গলার পেশিতে যেন টান পড়ে। বাম দিকের কনুই কাঁধ থেকে সামান্য উঁচুতে রাখুন।
আরও পড়ুন: কেন ভারতের কাছেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চাইছে আমেরিকা?
· এ বারে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কল্পিত তীর ছুড়ে দিন। ঘাড় আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনুন। একইসঙ্গে প্রথমে বাম হাত ও পরে ডান হাত শুরুর অবস্থানে নিয়ে আসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল, শরীরের ডান দিকে। এই ভাবে পর্যায়ক্রমে ৩ – ৫ বার অভ্যাস করতে হবে।
· একই নিয়মে বাম দিকে এই ভঙ্গীতে আসন অভ্যাস করুন ৩ – ৫ বার।
কেন করব
আকর্ণ ধনুরাসন অভ্যাস করলে ঘাড় ও কাঁধের পেশি নমনীয় ও দৃঢ় হয়। সচরাচর এই পেশি খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, অথচ দৈনন্দিন কাজকর্মে আমাদের অগোচরে পেশিতে চাপ পড়ে। ফলে এক দিকে ব্যথা অন্য দিকে পেশি শক্ত হয়ে গিয়ে কষ্ট বাড়ে। ছোট বেলা থেকে অভ্যাস করলে কুঁজো ভাব ও ভুল ভঙ্গিমার সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় করোনা-হানা! বিপদ কতটা? কী ভাবেই বা ঠেকাবেন অসুখ?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy