জীবনে থাকবে সুখ সমৃদ্ধিতে ভরপুর। খুশির অভাব হবে না, এমনটাই তো বাসনা থাকে বেশির. ভাগ মানুষেরই। আর এমন শখ পূরণে যা সবচেয়ে বেশি দরকার হয়, তা হল অর্থ। অনেকেই মনে করেন, অর্থই হল সুখের চাবিকাঠি। যাঁর জীবনে ধন-সম্পদের অভাব নেই, তাঁর আবার দুঃখ কী?
তবে জীবনে বিলাস-বৈভব এক, সুখে থাকা আর এক। জীবনে সমৃদ্ধির সংজ্ঞা মানুষ ভেদে ভিন্ন হতে পারে। হাতে প্রচুর অর্থ নেই, ভোগ-বিলাসে কাটানোর মতো সম্পদও নেই, তবু জীবনে হওয়া যায় সমৃদ্ধশালী। ভাবছেন নিশ্চই এ-ও কি হয়? কী ভাবে পেতে পারেন জীবনে সুখের চাবিকাঠি?
১। বৈভব নেই তো কী হয়েছে? এক কামরার ঘরও রুচিসম্মত ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন। রাখতে পারেন বইয়ের সংগ্রহ। সেই ঘরে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারার তৃপ্তিও কম কী? কোনও এক অলস দিনে পছন্দের বই নিয়ে কাচের জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে পারাও তো বিলাসিতা হতে পারে। অর্থের জন্য যিনি ক্রমাগত ছুটছেন, তাঁর কাছে এমন জীবনও খুব দামি হতে পারে। ভাল বই জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন:
২। সকালে উঠে পছন্দের এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক দিতে পারার আনন্দ, প্রিয়জনের সঙ্গযাপন কিন্তু অর্থমূল্যে তুলনার বিষয় হতে পারে না। জীবনে সুখী হওয়ার জন্য নিজের জন্য সময়, প্রিয়জনের সঙ্গ, কাজের ফাঁকে ভাল সময় কাটানোও জরুরি হতে পারে।
৩। স্নানঘরটি যদি একটু গুছিয়ে রাখা যায় আর সময় নিয়ে স্নান করা যায়, সেটিও হতে পারে ক্লান্তি দূর করার উপায়। নিজেকে ভাল রাখার কৌশল। বিলাসবহুল স্পা করান ধনীরা। কিন্তু কম অর্থেও সেই ভাললাগা নিজের মতো করে উপভোগ করা যায়। স্নানঘরে যদি একটি বাথটাব থাকে, আর ফুল, মোমবাতি, সুগন্ধী, গাছ দিয়ে সেই স্থান সাজিয়ে নেওয়া যায়, তাতেও কিন্তু স্পা-এর মতোই পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
৪। মন ভাল করার আরও একটা উপায় কারও কাছে হাতে পারে পছন্দের পোশাক। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে দামি পোশাকশিল্পীদের নকশা করা পোশাক কিনলেই যে জীবন সুন্দর হয়, তা কিন্তু নয়। নিজের সাধ্যের মধ্যেও ভাল পোশাক কেনা যায়। দামী পোশাকের চেয়েও নতুন পোশাকের আনন্দটা যদি বড় হয়, তা হলে সাধ্যের মধ্যেই শখপূরণ করা যায়।
৫। ধনবান হলে বিদেশ ভ্রমণ করা যায়। তা নিয়ে আক্ষেপ না করে দেশেও ঘোরা যায়। বেড়ানো যায় নিজের রাজ্যেও। ভ্রমণের আনন্দ শুধু বিদেশ, বৈভবে লুকিয়ে থাকে না। প্রকৃতি উপভোগ, নতুন সংস্কৃতি, কোনও জায়গার খাদ্যাভ্যাস, মানুষজনকে জানার ইচ্ছাই যদি মুখ্য হয়, তা হলে কাছেপিঠে ভ্রমণও হয়ে উঠতে পারে আনন্দের। ভ্রমণপিপাসুরা যে কোনও নতুন স্থান ঘুরেই অসম্ভব তৃপ্তি অনুভব করেন। সে জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হয় না সব সময়।