Advertisement
৩১ মার্চ ২০২৩
exercise

ভুঁড়ি হোক বা বাড়তি ওজন ঝরানো, এই নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করলে তবেই মিলবে উপকার

কোন সময় ব্যায়াম করছেন তার উপরেও নির্ভর করে মেদ ঝরার অঙ্ক। ছবি: শাটারস্টক।

কোন সময় ব্যায়াম করছেন তার উপরেও নির্ভর করে মেদ ঝরার অঙ্ক। ছবি: শাটারস্টক।

সুজাতা মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:২৩
Share: Save:

শরীরের অবাঞ্ছিত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে শরীরচর্চায় আস্থা রাখেন অনেকেই। ওজন কমাতে ডায়েট আর ব্যায়ামে ভরসা রাখলেও অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না ঠিক কখন শরীরচর্চা করা উচিত। সাধারণত, ভরা পেটে শরীরচর্চা করার কথা আমরা কেউই ভাবি না। কিন্তু খালিপেটে ব্যায়ামেই বেশি উপকার না কি হালকা খেয়ে শরীরচর্চাতেই মিলবে সুফল? সকাল না কি বিকেল? কোন সময়টা ব্যায়ামের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত— প্রশ্ন রয়েছে অনেক।

Advertisement

খাওয়ার আধঘণ্টা, এক ঘণ্টা বা ঘণ্টা দেড়েক বাদে ব্যায়াম করার চল সাধারণত রয়েছে। কিন্তু খালিপেটে মেলে অনেকটাই উপকার। অন্তত দেশ-বিদেশের নানা গবেষণা তাই বলছে। গবেষণার দাবি, খালিপেটে মাঝারি ব্যায়াম করলে বেশি চর্বি ঝড়ে। ক্যালোরি খরচ হয় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। কাজেই বেশি চর্বি ও ওজন ঝড়ানোর ইচ্ছে হলে রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে, সকালে খালিপেটে ব্যায়াম করার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুকোমল সেনের মতে, মেদ ঝরানোর জন্য শরীরচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাইলে রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম রাখতে পারলে ভাল। একেবারে না রাখলে আরও ভাল। এর পর মোটামুটি ১২ ঘণ্টার মতো খালিপেটে থাকলে শরীরে সঞ্চিত গ্লুকোজ তথা গ্লাইকোজেন চলে যায় শেষের মুখে। তখন ব্যায়াম বা অন্য কাজকর্মের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তা আসে চর্বি পুড়িয়ে।

অর্থাৎ খালিপেটে ব্যায়াম করলে ওজন তো কমেই, তার পাশাপাশি পেট–কোমর ও শরীরের যেখানে যেখানে চর্বি জমে আছে, তা কমতে শুরু করে৷ যে জামা–কাপড়গুলো চলে গিয়েছিল বাতিলের পর্যায়ে, তা আবার ফিট করতেও শুরু করবে৷

Advertisement

খালিপেটে মাথা ঘোরে

তবে খালিপেটে ব্যায়াম করার দাওয়াই অনেকেই মেনে নিতে পারেন না নানা কারণে। অনেকেরই খালিপেটে শরীরচর্চায় মাথা ঘোরে। বিশেষজ্ঞজের মত, সাধারণত, দু’টি কারণে এ রকম হতে পারে। হয় শরীর এমনিতেই এই ধকল নিতে পারে না, বয়স বেশি বা কোনও অসুখ–বিসুখ থাকলে এই ধকলের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। নয়তো প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যায়াম করে ফেলছেন। ফলে চর্বি ভেঙে যে সুগার তৈরি হচ্ছে, ব্যায়াম করে তাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছেন৷ মস্তিষ্কের প্রধান খাদ্য সুগার। সে যে তা পাচ্ছে না, জানান দিচ্ছে মাথাঘোরার মাধ্যমে। সে জন্যই খালিপেটে ভারী ব্যায়াম করতে বারণ করা হয়।

মাঝারি মাপের কার্ডিও, অর্থাৎ ৪–৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে আধঘণ্টা–৪৫ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট এই সময়। কেউ কেউ আরও বেশি করতে পারেন। আর যাঁদের এটুকুও সহ্য হয় না, তাঁরা ঘুম থেকে উঠে একটা টোস্ট/কলা বা চা/কফি–বিস্কুট খেয়ে হাঁটতে বেড়িয়ে যান।

ব্যায়ামের আগে ও পরে কিছু নিয়ম মানলে ওজনল কমবে সহজে। ছবি: শাটারস্টক।

খাওয়া ও ব্যায়াম

নিয়ম মেনে ব্যাযাম করতে চাইলে খালিপেটে করুন কার্ডিও এক্সারসাইজ, অর্থাৎ দৌড়োনো, সাইক্লিং, জগিং, সাঁতার ইত্যাদি। আর ভাল করে খাওয়াদাওয়া করে বিকেল বা সন্ধের দিকে, শরীরে যখন পর্যাপ্ত সুগার আছে— তখন ওজন নিয়ে ব্যায়ামকরুন।

তবে খাবার খেতে হবে ব্যায়ামের পরও। প্রথমে একটা কলা। তাতে এক চামচ পিনাট বাটার লাগিয়ে নিতে পারেন। তার পর ফ্রেশ হয়ে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার। ওজন কমাতে বা ফিটনেস বাড়ানোর জন্য যাঁরা মাঝারি ব্যায়াম করেন, তাঁদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.