‘বাজীরাও মস্তানি’-পোস্টার প্রতীকী ছবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
সম্পর্কে প্রতারিত হওয়ার কষ্ট জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টগুলোর অন্যতম। বিশ্বাস করে অবহেলিত, প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণা অনেকে সারা জীবনেও কাটিয়ে উঠতে পারেন না। কেউ পালিয়ে বেড়ান স্মৃতি থেকে, কেউ বা অন্য কিছুর মধ্যে শান্তি খুঁজে নিতে গিয়ে করে ফেলেন বড় কোনও ভুল। অনেক সময়ই আমরা এমন কিছু ভুল করে ফেলি যার জন্য এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা আরও কঠিন হয়ে প়ড়ে। এই ভুলগুলো করবেন না।
বিশ্বাসঘাতকতা এড়িয়ে যাওয়া
ভুলতে যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনার সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে তা অস্বীকার করলে কিন্তু সমাধানের চেয়ে সমস্যা বাড়বে। সব কিছু আবার আগের মতো হয়ে যাবে ভেবে এড়িয়ে যাবেন না। পরিস্থিতি বদলেছে। যত তাড়াতাড়ি তা মেনে নিতে শিখবেন ততই সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
নিজেকে দোষারোপ
সঙ্গী আপনাকে প্রতারণা করেছে সেটা কিন্তু আপনার কোনও দোষ বা ভুল নয়। তাই ‘আমার জন্যই এমনটা হল’, ‘আমি পারিনি’, ‘আমার মধ্যে কী খামতি রয়েছে’-এগুলো ভেবে নিজেকে দোষারোপ করবেন না।
প্রতিশোধ
প্রতিশোধ নিতে গেলে কিন্তু নিজেই বিপদে পড়বেন। পার্টনারকে শিক্ষা দিতে গিয়ে প্রতিশোধ নিলে কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হবে না। দিনের শেষে তা আপনারই মানসিক শান্তি নষ্ট করবে।
তাড়াহুড়ো
এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা সকলের সমান হয় না। কেউ তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পারেন, কারও অনেকটা সময় লাগে। আপনার বন্ধু এই অবস্থা এক মাসে কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বলে আপনারও এক মাসই সময় লাগবে তার কোনও মানে নেই। হয়তো আপনি দু’মাসের মধ্যেই নিজেকে গুছিয়ে নিলেন। আবার হয়তো ছ’মাস লেগে গেলে কাটিয়ে উঠতে। নিজেকে বুঝুন, নিজেকে সময় দিন।
আরও পড়ুন: যে শব্দগুলো মিথ্যাবাদীরা প্রায়ই বলে থাকেন
পেশাদার সাহায্য না নেওয়া
অনেক সময়ই প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণা খুব গভীর ভাবে আমাদের আঘাত করে। যে কোনও সম্পর্কের প্রতিই নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে দেয়। যদি দেখেন এই অবস্থা থেকে নিজেকে বের করতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তা হলে অবশ্যই পেশাদার কোনও মনোবিদের সাহায্য নিন। যদি আপনি আবার সম্পর্কটাকে সারিয়েও তুলতে চান, তা হলেও অনেক সময় একজন অভিজ্ঞ তৃতীয় ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। যিনি নিরপেক্ষ ভাবে আপনাদের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy