উপসর্গকে উপেক্ষা নয়। বরং ঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে কিডনির অসুখে আক্রান্ত শিশুরও আগামী দিন সুন্দর হতে পারে। ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ (আইসিএইচ) আয়োজিত শিশুদের কিডনির অসুখ এবং সুস্থতা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে এমনই বার্তা দিলেন
পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্টরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবসের আগের দিন, বুধবার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।
আইসিএইচের অধিকর্তা শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘কিডনির অসুখে কেউ
ভুগতে পারেন। কিন্তু একেবারে খারাপ হয়ে যাবে, তেমন নয়। তবে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং অসুখকে উপেক্ষা করার মানসিকতা থেকেই সমস্যা বাড়ে।’’ তিনি
আরও জানান, অধিকাংশ বাবা-মা ভাবতেই পারেন না যে তাঁদের সন্তানের কিডনির সমস্যা হয়েছে। সেই মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। অনুষ্ঠানে কিডনি
প্রতিস্থাপন হওয়া, ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকা শিশু ও তাদের পরিজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। যেমন, চার বছরের আদিদেব চক্রবর্তীর মাত্র ১৯ দিন বয়সে কিডনির সমস্যা ধরা পড়েছিল। তিন বছর বয়সে কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ার পরে সে এখন সুস্থ।
আইসিএইচের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্ট দেবলীনা দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন, জন্মগত ভাবেও
অনেক শিশুর কিডনির সমস্যা ধরা পরে। তাঁর কথায়, ‘‘শিশুদের কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার অধিকাংশের নেপথ্যে রয়েছে জিনগত সমস্যা।’’ তিনি জানাচ্ছেন, শিশুর প্রস্রাব কম বা ঘন ঘন হওয়া, প্রস্রাবে ফেনাভাব, রক্ত পরা, বার বার প্রস্রাবে সংক্রমণের মতো উপসর্গের নেপথ্যে কিডনির সমস্যা লুকিয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘‘সাধারণত বাচ্চাদের রক্তচাপ মাপা হয় না। কিন্তু কারও যদি মাথাব্যথা হতে থাকে, তা হলে রক্তচাপ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ উচ্চ রক্তচাপের জন্যে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।’’ ইতিমধ্যেই আইসিএইচে ১০টি শিশুর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)