ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাবান, শ্যাম্পু, তেল ঘষলেও অনেক সময়েই উঠতে চায় না রং। ছবি: শাটারস্টক।
দোল খেলতে যতই ভাল লাগুক, খেলার পর হাত, মুখ বা চুল থেকে দোলের রং তোলার কাজ বড়ই ঝক্কির। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাবান, শ্যাম্পু, তেল ঘষলেও অনেক সময়েই উঠতে চায় না রং। রাসায়নিক মিশ্রিত রং ত্বক ও চুলে দীর্ঘ ক্ষণ লেগে থাকা মোটেই ভাল নয়। তাই দ্রুত ও সহজে রং সাফ করতে হবে। কাজে লাগতে পারে কিছু সহজ কৌশল।
১) চুলের রং
চুলের রং তোলার সময়ে প্রথমেই শ্যাম্পু দেবেন না। বরং শুরুতে জল দিয়ে বার কয়েক ধুয়ে নিন চুল। তার পর লাগান শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার। এ ছাড়া দুই চামচ অলিভ অয়েল, চার চামচ মধু আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। মিশ্রণটি চুলে ও মাথায় লাগিয়ে তিরিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিলেই আগের মতো হয়ে যাবে চুল। দোল খেলার পর চুল রুক্ষ হয়ে যায়, জেল্লাও হারিয়ে যায়। হারানো জেল্লা ফিরে পেতে মেখে নিতে পারেন ডিম ও দইয়ের প্যাকও।
২) মুখের রং
মুখের ত্বক সাধারণত অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়। তাই রং খেলার পর সাবান দিয়ে বেশি ঘষাঘষি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্রণর সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। প্রথমে জল দিয়ে মুখ থেকে গুঁড়ো রং বা আবির ধুয়ে ফেলুন। এ বার এক বাটি টক দইতে দুই বেসন মিশিয়ে মুখে মেখে নিতে পারেন। শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে স্ক্রাবিং করুন। এর পর ঈষদুষ্ণ গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। যাঁদের ত্বকে তৈলাক্ত ভাব রয়েছে তাঁরা মুলতানি মাটি, গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। মুখে এই মিশ্রণ মিনিট দশেক আলতো করে ঘষলেই উঠে আসবে রং।
৩) গায়ের রং
গায়ের রং যদি একবারে নাও ওঠে তবুও অযথা ঘষাঘষি করে তোলার চেষ্টা করবেন না। এতে উল্টে ত্বকের ক্ষতি হয়। রঙের প্রভাবে এমনিতেই ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তার উপর তীব্র ক্ষার সমৃদ্ধ সাবান আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে ত্বকের। বরং রং খেলার পর সাধারণ সাবান ব্যবহার না করে শিশুদের সাবান ব্যবহার করুন। ময়দার ঘন মিশ্রণ বনিয়ে গায়ে লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে নিন, রং উঠে আসবে। স্নানের পর ময়শ্চরাইজার মাখতে হবে। নইলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে ত্বক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy