Advertisement
E-Paper

অন্তঃসত্ত্বাদের জরুরি আয়োডিন যুক্ত খাদ্য

আয়োডিন যুক্ত লবণ খাওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্র ২০০৫ সালে এই নিয়ম করেছে। এই আদেশ পালনের জন্য আশা কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে আয়োডিনের অভাবজনিত উপসর্গ প্রতিরোধের নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ১০:২৩
চিহ্ন: আয়োডিন-নুনের প্যাকেটে থাকে হাসি মুখের সূর্য। নিজস্ব চিত্র

চিহ্ন: আয়োডিন-নুনের প্যাকেটে থাকে হাসি মুখের সূর্য। নিজস্ব চিত্র

আয়োডিন যুক্ত লবণ খাওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্র ২০০৫ সালে এই নিয়ম করেছে। এই আদেশ পালনের জন্য আশা কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে আয়োডিনের অভাবজনিত উপসর্গ প্রতিরোধের নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন। সাধারণ নুনের সঙ্গে আয়োডিন মেশালেই তা আয়োডিন লবণ হয়। প্রতিদিনই মানুষ নুন খান। তাই নুনের মাধ্যমে মানব শরীরের আয়োডিন যোগ করা সহজতম পন্থা। খাবারের সঙ্গে এই নুন খেলে আয়োডিনের প্রয়োজন মিটে যায়। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে আয়োডিন যুক্ত নুন খাওয়া জরুরি। এতে পড়াশোনা এবং অন্য কাজ ভাল হয়।

আয়োডিন লবণ খুবই সহজলভ্য। বাড়ির পাশের মুদির দোকান বা রেশন দোকানেই পাওয়া যায়। তবে সাধারণ নুনের থেকে একটু বেশি দাম এই নুনের। আয়োডিন যুক্ত নুনের প্যাকেটে সূর্যের ছবি থাকে। এই সূর্য হাসি হাসি মুখের। এই চিহ্ন দেখেই আয়োডিন নুন চেনা যায়।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের খোঁজখবরে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় বারোটি জেলায় এই উপাদানের অভাবজনিত রোগের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। জেলাগুলো হল, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বসিরহাট ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা, বীরভূম, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা। গত এবং চলতি আর্থিক বর্ষে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সাতটি জেলায় সমীক্ষার আয়োজন করেছে। এই জেলাগুলো হল, বীরভূম, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা। এর মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘টোটাল গয়টার রেট’ হল যথাক্রমে ৩.৭০ এবং ৪.১৫ শতাংশ। নন্দীগ্রামে এই হার ১.৭০ শতাংশ। অর্থাৎ এই জেলাগুলো ‘নন এনডেমিক’। এর মানে এই জেলাগুলোয় আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের প্রভাব সারা বছরের সমস্যা নয়।

তবে স্বাস্থ্য দফতর প্রতিনিয়তই আয়োডিন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। আশা কর্মীদের আয়োডিন পরীক্ষার জন্য যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। আশা কর্মীরা বাড়ি থেকে নুনের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করছেন। নুনে আয়োডিনের পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রার কম বা বেশি হলেই তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা বা শিশু রয়েছেন সেই বাড়িতে নুন ব্যবহারের জন্য বিশেষ জোর দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন আশাকর্মীরা। অনেক সময়েই অভিযোগ আসছে, বাজারের নুনে সঠিক মাত্রায় আয়োডিন থাকছে না।

তবে দোকান থেকে আয়োডিন যুক্ত নুনের প্যাকেট কিনলেই দায়িত্ব শেষ হচ্ছে না। সেই নুন রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় জানা জরুরি। এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানালেন, নুন খোলা ভাবে রাখা উচিত নয়। রাখা উচিত বন্ধ পাত্রে। না হলে নুনের আয়োডিন নষ্ট হয়ে যায়। দোকানে খোলা মুখ বস্তায় নুন রাখলে একই সমস্যা। এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। তিনি জানালেন, সামুদ্রিক মাছ এবং সমুদ্রের ধারে যে সব শাকআনাজ হয় তা খেলে শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হবে না। তিনি অন্তঃসত্ত্বাদের আয়োডিন যুক্ত নুন এবং খাদ্য খাওয়ার উপরে বিশেষ জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ইতিমধ্যেই নুনে আয়োডিনের পরিমাণ পরীক্ষার জন্য ‘কিট’ এসেছে।

Pregnant Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy