Advertisement
E-Paper

দ্রুত মেদ ঝরাতে চান? ঘুমোনোর সময় মানুন এ সব নিয়ম, তাতেই বাজিমাত!

ঘুমের আগে-পরে কিছু নিয়ম মানলেই মেদহীন চেহারা গঠনে এগিয়ে থাকবেন অনেকটা। জানেন সে সব কী কী?

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৪:৪৮
মেদ ঝরাতে পারেন ঘুমিয়েও, শুধু দরকার নিয়মটুকু জানা। ছবি: শাটারস্টক।

মেদ ঝরাতে পারেন ঘুমিয়েও, শুধু দরকার নিয়মটুকু জানা। ছবি: শাটারস্টক।

জিম থেকে ডায়েট, দৌড়ঝাঁপ থেকে প্রিয় জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা— ওজনের ভয়ে কত কিছুই না করতে বাধ্য হই আমরা। শরীরকে ছিপছিপে রাখাই শুধু নয়, সুস্থ রাখতেও চেহারা থেকে বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। তাই ওজন কমানোর চেষ্টায় কমবেশি শামিল হই আমরা সকলেই।

শরীরচর্চা, ব্রেকফাস্ট বাদ না দেওয়া, নো কার্বস ডায়েটে অভ্যস্ত হওয়া, পর্যাপ্ত জল, প্রয়োজনীয় ঘুম— এ সব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস না হয় বজায় রাখলেন। কিন্তু জানেন কি, মেদ ঝরানোর মন্ত্র কেবল এটাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও কমিয়ে ফেলতে পারেন শরীরের বাড়তি চর্বি।

ঘুমের আগে-পরে কিছু নিয়ম মানলেই মেদহীন চেহারা গঠনে এগিয়ে থাকবেন অনেকটা। জানেন সে সব কী কী?

আরও পড়ুন: হ্যালো ডক্টর: ব্রণ নিয়ে এ সব সমস্যা কি আপনারও আছে? দেখে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

ঘুমোনোর এক ঘণ্টা আগে দুধ খান।

রাতের খাওয়া সেরে নিন ঘুমোতে যাওয়ার চার ঘণ্টা আগেই। যত রাত বাড়তে তাকে, আমাদের বিপাক হার তত কমতে থাকে তাই বেসি রাতে কেলে খাবার হজম না হয়ে অন্য রোগ যেমন ডেকে আনে, তেমনই ফুলিয়ে দেয় শরীরও। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধের দিকে শরীরচর্চা করতে পারলে তা খুব কাজে আসে। এতে খাবার বিপাকহার বাড়ে। ফলে ঘুমোনোর সময় কমে যাওয়া বিপাক হারকে নিয়ন্ত্রণ করে তা খাবার হজমে সাহায্য করে। ঘুমোতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এক কাপ গরম দুধ খান। রাতে দুধ হজম হয় না— এই মিথ ভাঙুন। দুধে আলাদা করে কোনও সমস্যা না থাকলে রাতে দুধ হজমে কোনও সমস্যা তো হয়ই না, উল্টে শরীরে বিপাক হার বাড়ায় তা। নুন নয়। রাতের খাবারেও বাড়তি নুন আটকান। জল শরীরে জমার সময় নুনের সোডিয়ামের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে। তাই নুন কমালে শরীরে বাড়তি জল জমে যাওয়ার প্রবণতা তৈরিই হবে না।

আরও পড়ুন: প্রায়ই মাল্টিটাস্কিং করেন? অজান্তেই নিজের কী ক্ষতি করছেন জানেন?

সন্ধের পর এড়িয়ে চলুন চা-কফি। ছবি: শাটারস্টক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের আবহাওয়াকে ঠান্ডা রাখুন। ঠান্ডা ঘরে ঘুমোলে ঘুম ভাল হয় ও ক্যালোরি পোড়ে বেসি। এসির হাওয়ায় সরাসরি না ঘুমিয়ে, ঘুমোনোর আগে ঘণ্টাখানেক এসি চালিয়ে ঘরকে ঠান্ডা করে নিন। তার পর এসি বন্ধ করে, দরকারে একটা পাখা হালকা করে চালিয়ে ঘুমোন। এসি না থাকলে সন্ধে থেকেই বেডরুমকে নানা প্রাকৃতিক উপায়ে ঠান্ডা রাখুন। সন্ধের পর থেকে আর কোনও চা-কফি-ঠান্ডা পানীয় বা মদ্যপান নয়। উত্তেজক পানীয় যেমন শরীরের স্নায়ুগুলিকে উদ্দীপ্ত করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তেমন ঠান্ডা পানীয় ভীষণ ভাবে মেদ বাড়ায়। মদ্যপানে ভাল ঘুম হয়— এমন ধারণার বশবর্তী হলে সে অভ্যাসে রাশ টানুন। এতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বাড়ে। এক সময় মদ ছাড়া আর ঘুম আসবে না। তা ছাড়া মদ্যপানও শরীরে মেদ বাড়ায় হু হু করে, সঙ্গে অন্যান্য ক্ষতি তো আছেই।

Fitness Tips Health Tips Body Fat Obesity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy