Advertisement
০৭ মে ২০২৪
CORONAVIRUS

ককটেল ইঞ্জেকশন নিয়ে চলছে গবেষণা, করোনাভাইরাস ঠেকাতে মেনে চলুন এ সব

এই ভাইরাস ঠেকাতে কিছু নিয়ম মেনে চললেই ভয় অনেকটা কমবে। কী কী সে সব?

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। ছবি: শাটারস্টক।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:০৯
Share: Save:

ককটেল ইঞ্জেকশনে করোনা-মুক্তি! ফ্লু আর এইচআইভি-র প্রতিষেধক মিলিয়েই করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক তৈরি করে নেওয়া। তাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে। ক্রিয়েংসাক আট্টিপর্নওয়ানিচ নামের এক চিকিৎসকের দাবি, ৭১ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। ‘ককটেল ইঞ্জেকশনটি’ তাঁর শরীরে প্রয়োগের পরেই তিনি সুস্থ হন ও রিপোর্টে দেখা যায় ভাইরাসটি শরীরে আর নেই।

হঠাৎ আমদানি হওয়া এই ভাইরাস নিয়ে যারপরনাই চিন্তায় চিকিৎসক মহলও। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাটের মতে, ‘‘জিনগত মিউটেশনের কারণে কোনও কোনও ভাইরাস তার আকার-আকৃতি বদলে ফেলে। পরিবর্তন করে বৈশিষ্ট্যও। ফলে নতুন ধরনের এই ভাইরাসগুলির সঙ্গে লড়াই করার মতো হাতিয়ার মজুত করার আগেই এরা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। করোনাও এই ধরনের একটি ভাইরাস।’’

এইচআইভি-তে ব্যবহৃত ‘লোপিনাভি’ বা ‘রিটোনাভি’-র সঙ্গে ফ্লুয়ের ওষুধ ‘ওসেলটামিভির’। এই দুই মিলিয়ে ককটেল ইঞ্জেকশনেই সরেছে করোনাভাইরাস। প্রয়োগমূলক সাফল্যের পর এই ইঞ্জেকশন নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা শুরু হয়েছে। তবে দু’একটি ‘কেস স্টাডি’-তে এর প্রয়োগ দেখেই এখুনি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ কলকাতার নিউমোনিয়া বিশেষজ্ঞ ও ভায়ারোলজিস্ট সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এখনই কোনও সিদ্ধান্তে না এসে পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভরসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে এই ভাইরাস ঠেকাতে কিছু নিয়ম মেনে চললেই ভয় অনেকটা কমবে।’’

আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্যানসার দিবস: প্রতি দিনের অভ্যাসে এ সব পরিবর্তন আনুন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই সহজ হবে

সর্দি-কাশি করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ, ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সব ঘরোয়া উপায়ে ঠেকান অসুখ

কী কী সে সব নিয়ম?

দিন পনেরো ধরে ওষুধ ও যত্নের পরেও একটানা সর্দি-কাশি থাকলে চিকিৎসককে জানান। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সাহচর্যে এলে হাত-মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন। কাঁচা মাংসে হাত দিলে হাত ভাল করে ধুয়ে নিন। কোনও ভাবেই ওই হাত মুখে দেবেন না। মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত এলাকায় করলেই চলবে। যে কোনও মাস্ক নয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই মাস্ক কিনুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE