Advertisement
E-Paper

একান্তই কিনতে হচ্ছে প্রসেসড ফুড? অসুখ রুখতে কেনার সময় মেনে চলুন এ সব সতর্কতা

প্রসেসড ফুড খুব ক্ষতিকর। তবু যদি একান্তই প্রয়োজন হয় প্রসেসড ফুড কেনার, তা হলে উপায়? চিকিৎসকদের মতে, এ ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কিছু সাবধানতা। জানেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ১৩:৪৪
প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। ছবি: শাটারস্টক।

প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। ছবি: শাটারস্টক।

ব্যস্ত জীবনে কড়া ডায়েট বা চিকিৎসকদের বাধানিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করলেও অনেক সময়ই ঘড়ির কাঁটা ও কাজের চাপ তাতে ঢিলেমি আনে। সেই ফাঁকফোকর দিয়েই ঢুকে পড়ে প্যাকেটজাত খাবার। প্রসেসড ফুডের দ্বারস্থ হতেই হয় কখনও না কখনও। যদিও এই প্রসেসড ফুড নিয়ে চিকিৎসকরা বার বারই সাবধান করে আসছেন। তাঁদের মতে, শরীরে অতিরিক্ত চিনি ও নুনের সরবরাহ হয় এই প্রসেসড ফু়ডের মাধ্যমেই। বাড়ে নানা ত্বকের অসুখও। ওবেসিটি, কিছু কিছু ক্যানসার, ডায়াবিটিস সবই উস্কে দিতে পারে এই প্রসেসড ফুড।

চিকিৎসকদের মতে, স্ন্যাক্স, বেভারেজ বা ফলের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে ও রান্নায় ব্যবহৃত সস ব্যবহারে এই প্রসেসড ফুডের শরণ নিতে হয় বেশির ভাগ সময়। চিকিৎসকরা যদিও এ সব নিয়ন্ত্রণের কথাতেই সায় দিচ্ছেন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্করকুমার দাসের মতে, ‘‘স্ন্যাক্স হিসাবে বাড়িতে বানানো খাবার, মুড়ি, ছোলা, বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস, চিঁড়ে এ সবে ভরসা রাখুন। ফল খান চিবিয়ে। রস খেতে ইচ্ছা হলে বাড়িতে বানিয়েই বেশি ক্ষণ হাওয়ায় না ফেলে রেখে খেয়ে নিন তা। কিন্তু প্রসেসড ফুডে নিয়ন্ত্রণ আনুন অবশ্যই।’’

তার পরেও যদি কখনও কখনও একান্তই প্রয়োজন হয় তা হলে উপায়? চিকিৎসকদের মতে, এ ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কিছু সাবধানতা। প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে তাই সতর্ক হোন।

আরও পড়ুন: সন্তান মোটা হয়ে যাচ্ছে? মেদের জুজু তাড়ান এই সব উপায়ে

কেনার আগে প্যাকেটে কী লেখা আছে তা ভাল করে পড়ুন। সাধারণত ‘লো ফ্যাট’, ‘লো ক্যালোরি’ ‘জিরো ফ্যাট’ এই ধরনের কথা লেখা থাকে। এ সব দেখে নিরাপদে আছেন ভাববেন না। প্রোডাক্টের গায়ে অন্য কোনও উপাদানের বিস্তারিত বর্ণনা না থাকলে তা কিনবেন না। ‘নো অ্যাডেড সুগার’ লেখা থাকলেও ভাল করে খেয়াল করুন তাতে ‘হাই ফ্রুকটোজ় কর্ন সিরাপ’, ‘সুইট সিরাপ’, ‘কেন জ্যুস ক্রিস্টাল’ জাতীয় কোনও বস্তুর উপস্থিতি জানানো হয়েছে কি? থাকলে এগুলোই কিন্তু বাড়তি চিনির জোগান দেবে। কাজেই কিনবেন না। ‘সুগার ফ্রি অ্যাডেড’ এই শব্দেও ভুলবেন না। সুগার ফ্রি-তে অ্যাসপার্টেম জাতীয় উপাদান মেশানো হয়। এই ধরনের কৃত্রিম চিনিতে তাই মিষ্টির পরিমাণও বেশি থাকে ও তা শরীরের জন্যও খুব ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন: নিরামিষ ভালবাসেন? মাছ-মাংস-ডিম ছাড়াই শরীরকে সুস্থ ও ছিপছিপে রাখুন এই উপায়ে

প্যাকেটজাত ভাজাভুজিও এড়িয়ে চলুন।

‘অর্গ্যানিক’ এই শব্দেও বিভ্রান্তি ছড়ায়। অর্গ্যানিক চিনি বা নুন আদতে সাধারণ চিনি বা নুন-ই। এই ধরনের চিনি তৈরিতে একাধিক শস্য ব্যবহৃত হয়েছে এটুকুই বোঝায় কেবল। কাজেই অর্গ্যানিক মাত্রই ভাল এমন নয়। ফ্রুট বা ফ্লোরাল ফ্লেভার মানেই কিন্তু ফল ও ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এমন নয়। কৃত্রিম সিরাপ বা গন্ধ যোগ করেও এমনটা করাই যায়। গোটা এক প্যাকেট খাবারে কতটা ক্যালোরি ঢুকছে সে হিসেব কিন্তু সব প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে না। বরং অনেক সময় লেখা থাকে এই খাবারের নির্দিষ্ট একটি পরিমাণে কতটা ক্যালোরি থাকতে পারে। কাজেই খুঁটিয়ে না পড়ে গোটা এক প্যাকেট খাবার একাই খেয়ে ফেললে অনেকটা ক্যালোরি বেশি প্রবেশ করবে শরীরে। ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে কতটা নজর দিন। ফ্যাট কম এ দিকে ট্রান্স ফ্যাট বেশি, এর মানেই ঘুরিয়ে ফ্যাট বেশি তা-ই জানান দেওয়া।

Processed Food Food Processin Health Tips Fitness Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy