লেবুর মতেই গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করুন লেবুর খোসাকেও। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
ভাত-ডালের সঙ্গে ভোজনরসিকের জিভের তাড় আনতেই হোক বা সকালে উঠে গরম জলের সঙ্গে মিশিয়েই হোক— গৃহস্থ বাড়িতে লেবু রোজের প্রয়োজনীয় এক ফল। ডায়েট চার্ট থেকে শুরু করে সাজসজ্জা, সবেতেই লেবুর নানা উপকারী দিকের কথা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি।
কিন্তু কেবল লেবুই নয়, লেবুর খোসার নানা উপকারী দিকও আছে, যা জানলে গৃহস্থালি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পরিচর্যা সবেতেই কাজে লাগতে পারে এটি। নানা রাসায়নিক উপাদানের জেরে এই লেবুর খোসাও হয়ে উঠতে পারে অনেক মুশকিলের আসান।
তাই কোনও কোনও সময় চিকিৎসকরাও লেবু খাওয়ার পাশাপাশি লেবুর খোসা কুঁচিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। জানেন কি, এর নানা উপকারী দিকের কথা?
আরও পড়ুন: অপারেশন থিয়েটারে কেন সবুজ পোশাক পরেন চিকিৎসকরা?
লেবুর খোসা ওজন কমাতেও পারে। লেবুর খোসায় থাকা ‘পেকটিন’ শরীরের অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে দেয়। তাই অনেকেই লেবুর খোসা থেঁতো করে সেই রস জলে মিশিয়েও খেয়ে থাকেন। পাতিলেবুর খোসার লিমোনেন্স ক্যানসার প্রতিরোধেও সক্ষম। ক্যানসার কোষ ধ্বংসেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ক্যানসার আক্রান্তদের লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী এই লেবুর খোসা। এতে থাকা সাইট্রাস বায়োফ্লেভোনয়েড অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে সার্বিকভাবে মন-মস্তিষ্ক সতেজ হয়। লেবুর ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড ঠান্ডার আক্রমণ থেকে বাঁচায়। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতেও কাজে আসে লেবুর খোসা।
আরও পড়ুন: এ সব কাপে চা খান? ডেকে আনছেন মারাত্মক বিপদ!
লেবুর খোসায় আছে পলিফেনল। যা শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই হৃদরোগীকে লেবুর খোসা কুঁচিয়ে বা লেবুর খোসা গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে দিতে পারলে ভাল। লেবু নিজে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। তাই লেবুর খোসা ত্বেকর মৃত কোষ ঝরিয়ে ত্বককে টানটান ও মসৃণ রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy