এসির ব্যবহার কমিয়েও ঘরকে ঠান্ডা রাখা সম্ভব। ছবি: শাটারস্টক।
ঘাম ও অস্বস্তিকর গরম। গ্রীষ্মের এমন আচরণে এসি ছাড়া থাকা অনেকের পক্ষেই দুর্বিসহ। এ দিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছর এসি ব্যবহারেও নানা বিধিনিয়ম আরোপ হয়েছে। তবু গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসি চালানোর প্রবণতা। এ দিকে এসি চালিয়ে রাখায় চাপ পড়ছে পকেটে। সঙ্গে ঠান্ডা লেগে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। করোনা সংক্রমণের স্থায়ী ভয় তো রয়েছেই।
গরমের দাপটও কমবে আবার পকেটেও চাপ কম পড়বে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে। সে সব নিয়ম মানলে এসি ছাড়াই আপনার ঘর থাকবে ঠান্ডা। এতে ইলেকট্রিক বিলের পরিমাণও অনেক কম হবে।
জানলা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন: ঘড়ির কাঁটা এগারোটা ছাড়ালেই জানলা বন্ধ করে দিন ঘরের। সঙ্গে পর্দা টেনে পাখা চালিয়ে রাখুন। ঘরে তাপ কম ঢুকতে দিলেই আরাম পাবেন। বিকেলের দিকে রোদ পড়ে এলে জানলা খুলে দিন। এতে বিকেলের ঠান্ডা হাওয়া ঘরে ঢুকতে পারবে।
আরও পড়ুন: ভাইরাল ফিভারকে কোভিড বলে ভুল করবেন না, এই সময় জ্বর হলে কী করবেন?
খসখসের পর্দা: খসখসের পর্দা ব্যবহারের চল আগেও ছিল। ঘরের তাপ কমাতে এই ধরনের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। জানলায় খসের পর্দা টাঙিয়ে রাখুন। মাঝেমধ্যেই তাকে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে নিন। ঘর থাকবে অনেক ঠান্ডা ও আরামদায়ক।
গাছ থাকুক ঘরে: ঘরের মধ্যে রাখতে পারেন ছোট টবে রাখা সবুজ বাহারি গাছ। এতে ঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে, সঙ্গে গাছের উপস্থিতিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কম ওয়াটের আলো: দরকার ছাড়া বেশি ক্ষমতাযুক্ত আলো জ্বালাবেন না ঘরে। কম ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। টিউব বা বাল্বের গা থেকে তাপ বিকিরণের ফলেও ঘর কিছুটা গরম হয়। কম ওয়াটের বাল্বে সে সুযোগ কম থাকে।
নুন মেশান জল: ঘর মোছেন যখন, তখন ঘর মোছার জীবাণুনাশক তরলের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। নুনজল তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে মেঝে থেকে উঠে আসা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে হু হু করে বেড়েছে গর্ভধারণ, কলকাতা থেকে মুম্বই একই ছবি
পর্দা: ঘরে ব্যবহার করুন হালকা রঙের পর্দা। হালকা রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম। তাই হালকা রঙের পর্দায় বাইরের তাপ কম শোষিত হয়। ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে হালকা রঙের পর্দা। সুতির বা লিনেনের মতো প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিকের পর্দা এবং বেড শিট ব্যবহার করুন। এই ধরনের পর্দা তাপ প্রতিফলিত করবে, তার ফলে ঘর ঠান্ডা থাকবে।
এগজস্ট ফ্যান: রান্না করার সময় আগুনের তাপে ঘর গরম হয়ে যায়। তাই অবশ্যই এগজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy