বুমরার শরীরচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
দিন কয়েক আগেই ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বসেরা হয়েছেন ভারতীয় জোরে বোলার যশপ্রীত বুমরা। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই টেস্ট, এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বোলারদের মধ্যে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন তিনি। তবে বাইশ গজে বুমরার দুরন্ত এই দক্ষতার পিছনে রয়েছে কঠিন অধ্যবসায় এবং শরীরচর্চা। খেলাধুলোর জগতে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের শরীরচর্চা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে আগ্রহ থাকেই। মাঠের বাইরে নিজেকে ফিট রাখতে ঠিক কী ধরনের অনুশাসন মেনে চলেন তিনি?
১) কার্ডিয়ো
যশপ্রীতের ফিট থাকার রহস্য হল দৌড়। প্রতি দিন অনন্ত পক্ষে ১ ঘণ্টা দৌড়েই দিন শুরু করেন তিনি। এনার্জি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম।
২) ওজন তোলা
বোলারদের জন্য হাতের পেশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পেশিগুলি সচল রাখতে নির্দিষ্ট ওজনের ওয়েট প্লেট এবং কেট্লবেল দিয়েই শরীরচর্চা করেন। নিয়মিত কেট্লবেল তুললে হাতের মুঠোর জোর বাড়ে। পেটের পেশিও মজবুত হয়।
৩) ডেডলিফ্ট
পা, পিঠ, কোমর, নিতম্ব এবং পেটের পেশি সচল রাখতে যশপ্রীতের পছন্দ ডেডলিফ্ট। প্রশিক্ষকেরা বলছেন, পেশির জোর বাড়িয়ে তুলতে এই ব্যায়ামটি সবচেয়ে কার্যকর।
৪) ট্রেডমিল
কার্ডিয়োর সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল দৌড়। বাইরে গিয়ে দৌড়নোর উপায় না থাকলে ট্রেডমিলে দৌড়তে পছন্দ করেন ভারতীয় এই বোলার।
৫) সাঁতার
ব্যস্ত রুটিনের মাঝে প্রতি দিন জিমে যাওয়া সম্ভব হয় না। সেই দিনগুলিতে প্র্যাকটিসের পর যশপ্রীত সাঁতার কাটতেই পছন্দ করেন। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন থেকে পেশি সচল রাখা— সবের জন্যেই ভাল সাঁতার।
৬) কড়া ডায়েট
ফিট থাকতে শরীরচর্চার পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। যশপ্রীতের পাতে তাই ডাল, বিন্স, মাছ, ডিমের সঙ্গে মুরগির মাংস থাকা আবশ্যিক। কার্বোহাইড্রেটের জোগান অব্যাহত রাখতে মাঝে মধ্যে কিনোয়া, মিষ্টি আলু বা সামান্য পরিমাণে ভাতও থাকে।
৭) মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ
ফিটনেস বজায় রাখতে ডায়েট থেকে সমস্ত ধরনের মিষ্টিজাতীয় পানীয় এবং খাবার একেবারেই ছেঁটে ফেলেছেন যশপ্রীত। এমনকি, অ্যালকোহলজাতীয় কোনও পানীয়ই খান না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy