যেখানে কাজ করে না হোয়াট্অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহার করেন। সকালে ঘুম চোখ খোলা থেকে শুতে যাওয়া পর্যন্ত সঙ্গী এই অ্যাপ। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অন্ধকার ঘরে ফোন হাতড়ে বেশির ভাগ মানুষ যে অ্যাপটিতে প্রথম হাত দেন, তা ওই হোয়াট্সঅ্যাপই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডসের মতো হোয়াট্সঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে ‘মেটা’ সংস্থা। শুধু মেসেজ পাঠানোই নয়, ভয়েস কল, ভিডিয়ো কল, এমনকি টাকা পাঠানোর জন্যেও ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি। তা ছাড়া, হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে যে কোনও প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। এত জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে হোয়াট্সঅ্যাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই সেই সব দেশে যদি ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে সাবধান।
চিন
ফেসবুকের পাশাপাশি হোয়াট্সঅ্যাপ নিষিদ্ধ চিনে। তবে বেশ কিছু বিকল্প উপায় আছে। সরাসরি ডাউনলোড করতে না পারলেও ভিপিএনের মাধ্যমে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
ইরান
রাজনৈতিক অশান্তি, প্রতিবাদের কারণে হোয়াট্সঅ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ইরান সরকার। তাদের বদ্ধমূল ধারণা, আমেরিকার কোনও জিনিস ব্যবহার করা মানে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।
উত্তর কোরিয়া
এই দেশে কে বা কারা আসবেন, কোথায় থাকবেন, কী দেখবেন, কোথায় যাবেন— পুরো বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। বলাই বাহুল্য যে, সেই দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহারও কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শুধু হোয়াট্সঅ্যাপ নয়, বিদেশি যে কোনও জিনিসের ব্যবহারই উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ।
সিরিয়া
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়া। দেশের নাগরিকদের যাবতীয় কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রেখেছে সেই দেশের সরকার। ইরানের মতো সিরিয়াও মনে করে আমেরিকার যে কোনও জিনিস ব্যবহার করা মানে সেই দেশের বিরোধিতা করা। আর এই ধরনের অ্যাপগুলি বিদ্রোহীদের কাছে হাতিয়ার।
তুরস্ক
পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় তুরস্কের স্থান বেশ উপরের দিকেই। কিন্তু এই দেশ যে কোনও ধরনের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের বিপক্ষে। ভুয়ো তথ্য এবং অনৈতিক কার্যকলাপ রুখতে সমাজমাধ্যমের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রেখেছে সেই দেশের সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy