মাইক্রোওয়েভ অভেনের পাশাপাশি ইদানীং স্বাস্ত্য সচেতন বাঙালির হেঁশেলে জায়গা করে নিচ্ছে এয়ার ফ্রায়ার। এর মূল কারণ একটাই, প্রায় বিনা তেলেই রান্না করা যায় এতে। এয়ার ফ্রায়ারে ফ্যাটের ব্যবহার কম হয়। তেল, ঘি বিশেষ লাগে না। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, ওবেসিটি কমাতে বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এয়ার ফ্রায়ারে রান্না খাবার খুবই উপকারী। হেঁশেলে এয়ার ফ্রায়ার কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তার হদিস দিলেন রন্ধনশিল্পী পঙ্কজ ভাদুড়িয়া।
তেল ছাড়া রান্না: ভাজাভুজি খেতে ভালবাসলেও, স্বাস্থ্যের কথা ভেবে পিছিয়ে যান অনেকেই। এয়ার ফ্রায়ার থাকলে প্রায় তেল ছাড়াই আপনি ভাজাভুজি বানিয়ে ফেলতে পারেন। তেলে ভাজলেও অনেক সময় ভাজাভুজিতে মুচমুচে ভাব আসে না। তবে এয়ার ফ্রায়ারে তেল ছাড়াই মুচমুচে শিঙাড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কাটলেট বানিয়ে ফেলা যায়।
গ্রিল: অনেকের মাইক্রোওয়েভ অভেনে গ্রিলিং অপশন নেই। তাওয়ায় গ্রিল করলে হয় বেশি পুড়ে যায়, না হলে ভিতরটা কাঁচা থেকে যায়। মাছ, মাংস, পনির, সব্জি সব কিছুই গ্রিল করে নিতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। রেস্তরাঁর মতো চিকেন তন্দুরি হোক বা কবাব, এয়ার ফ্রায়ার থাকলে তার ‘ইনস্ট্যান্ট গ্রিল মোড’ চালু করে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন।
ভাজাভুজি গরম: দোকান থেকে কিনে আনা শিঙাড়া বাড়িতে আনলেই ঠান্ডা হয়ে যায়। সেই শিঙাড়া বাড়িতে গরম করলে আর মুচমুচে ভাব থাকে না। তবে এয়ার ফ্রায়ারে গরম করলে শিঙাড়া নরম হবে না, বরং তাতে আরও মুচমুচে ভাব আসবে।
বেকিং: এয়ার ফ্রায়ারে আপনি বেকিংও করতে পারেন। কুকিজ়, কাপ কেক, গার্লিক ব্রেড তৈরি করতে ব্যবহার করতেই পারেন এই যন্ত্র।
নান, কুলচা বানাতে: রেস্তরাঁয় গেলেই বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলেই নান, কুলচা খাওয়ার আবদার করেন। বাড়িতে তন্দুর নেই তাই দোকানের মতো নান, কুলচা বানানোর উপায় নেই। এয়ার ফ্রায়ার কিন্তু তন্দুরের মতো কাজ করতে পারে। চাইলে রেস্তরাঁর মতো সুস্বাদু বাটার নান, পনির কুলচা বাড়িতে এয়ার ফ্রায়ারেই বানিয়ে নিতে পারেন।