বরফের চাদরে ঢেকেছে মানালি শহর। ছবি: পিটিআই।
ছেলে-মেয়ের স্কুলে শীতের ছুটি পড়ল বলে। এক বার ছুটি ঘোষণা হয়ে গেলে তাদের বাড়িতে আটকে রাখাই দায়। এ বছর তাদের ইচ্ছে স্নোফল দেখার। সুতরাং গন্তব্য যা-ই হোক না কেন, সেখানে বরফ পড়া চাই। সামনেই বিয়ের মরসুম। আগে থেকে সব কিছু ঠিক করে ফেলতে না পারলে কোথাও তিল ধারণের জায়গা পাওয়া যাবে না। বরফ পড়া দেখতে যে সব সময়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডেই যেতে হবে, এমনটা নয়। ভারতেও এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে গেলে ‘স্নোফল’ দেখতে পেতে পারেন। তেমন পাঁচ গন্তব্যের সন্ধান দেওয়া হল এখানে।
১) দার্জিলিং
জলের কষ্ট, থিকথিকে ভিড়, থাকার জায়গার অভাব— যত সমস্যাই থাকুক না কেন, বাঙালির কাছে দার্জিলিং-এর আকর্ষণ কিন্তু কোনও দিন কমবে না। টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয়, চিড়িয়াখানায় স্নোলেপার্ড, ম্যালে ঘোড়ার পিঠে চেপে তোলা ছবি, মিরিক লেকে বোটিং— স্মৃতির অ্যালবামে ভেসে ওঠা পুরনো স্মৃতি জিইয়ে রাখতে আরও এক বার ঘুরে আসতেই পারেন দার্জিলিং থেকে।
২) গুলমার্গ
নিজের চোখে যদি বরফ পড়া দেখতে চান, তা হলে এ বার শীতে গুলমার্গ থাকতেই পারে আপনার তালিকায়। বছরের অন্যান্য সময়েও গুলমার্গ আসা যায়। তবে বরফ পড়ার সৌন্দর্য দেখা যাবে না। বরফের লেকের উপর স্কি করা, স্নোবোর্ডিং থেকে স্নো-বাইক চালানো— সবই করতে পারেন এখানে। তবে গুলমার্গের অপরূপ দৃশ্য পাখির চোখের মতো করে উপভোগ করতে হলে কেব্ল কার-এ চড়তেই হবে।
৩) মানালি
হিমাচলের শৈলশহর মানালি। মধুচন্দ্রিমার আদর্শ স্থান এই মানালি। শ্বেতশুভ্র পাহাড়, দেবদারু গাছের পাতায় তুলোর মতো বরফের আস্তরণ— নয়নাভিরাম সব দৃশ্য ভোলার নয়। বাইক চালাতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁদের কাছেও মানালির রাস্তা স্বর্গের মতো। সঙ্গে সোলাং ভ্যালিতে প্যারাগ্লাইডিং, যোগিনী জলপ্রপাতের অবিরাম জলধারা দেখতে গেলে এখানে আসতেই হবে।
৪) উটি
নীলগিরি পর্বতের গায়ে তামিলনাড়ুর ছোট্ট একটি শৈলশহর উটি। পাহাড়, লেক, জঙ্গল কী নেই উটিতে? মনোরম আবহাওয়া সঙ্গে চোখ জুড়ানো সবুজের সমাহার। উটিতে ঘুরতে এলে দোদাবেতা শৃঙ্গ, উটি লেক, বোটানিকাল গার্ডেন, টি মিউজ়িয়াম, মুদুমালাই অভয়ারণ্যে জঙ্গল সাফারি, এলিফ্যান্ট ক্যাম্প কিন্তু ঘুরে দেখতেই হবে।
৫) আউলি
স্কি করতে ভালবাসেন? তা হলে আপনাকে আসতেই হবে উত্তরাখণ্ডের শৈলশহর আউলিতে। নন্দাদেবী, নীলকণ্ঠ এবং মানা পর্বতের অপরূপ সৌন্দর্য মনে থেকে যাবে। শীতে বরফে ঢেকে যায় চারদিক। সেই সৌন্দর্যও ভোলার নয়। এশিয়ার উচ্চতম এবং দীর্ঘতম রোপওয়ে রয়েছে এখানেই। ভোরবেলা উঠতে পারলে পঞ্চচুল্লির সৌন্দর্য চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy