প্রেশার কুকারে রান্না মানেই কম জ্বালানি, কম সময় খরচ। রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী প্রেশার কুকার। ডাল সেদ্ধ হোক বা চটজলদি বিরিয়ানি— প্রেশার কুকার থাকলে আর চিন্তা নেই। তবে কেবল সেদ্ধ করার কাজেই প্রেশার কুকারের ব্যবহার সীমিত রাখলে ঠকবেন। হেঁশেলে প্রেশার কুকার থাকলে আরও ৫ কাজে সহজেই করে ফেলতে পারেন।
তন্দুর: রেস্তরাঁয় গেলে তন্দুরি রুটি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। তবে বাড়িতে তন্দুর না থাকার কারণে এই রুটি অনেকেই বানাতে পারেন না। প্রেশার কুকারকে কিন্তু চাইলেই তন্দুরের মতো ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে গ্যাস চালিয়ে কুকারটি ঢাকনা ছাড়া উল্টে গ্যাসের উপর রেখে গরম করে নিন। এ বার তন্দুরি রুটি বানিয়ে রুটির এক পিঠে জল লাগিয়ে কুকারের ভিতরের অংশে সেঁটে দিন। দেখবেন, সুন্দর তন্তুরি রুটি হয়ে গিয়েছে কয়েক মিনিটেই।
অভেন: বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ অভেন না থাকার কারণে অনেকেই বেকিং করতে পারেন না। তবে কুকারকে অভেন হিসাবে ব্যবহার করতেই পারেন। কেক, কুকিজ়, বিস্কুট বানাতে কুকারকে কাজে লাগাতে পারেন।
পপকর্ন মেশিন: অনেকটা পপকর্ন একসঙ্গে বানাতে হলে কুকার ব্যবহার করতে পারেন। কুকারে তেল আর কর্নের মিশ্রণ দিয়ে উপরে ঢাকাটি আলতো করে চাপা দিয়ে রাখলে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই অনেকটা পপকর্ন বানিয়ে ফেলতে পারেন।
উনুন: শীতের মরসুমে লিট্টি-চোখা খেতে অনেকেই ভালবাসেন। বিহারের এই খাবার এখন বাঙালিও আপন করে নিয়েছে। তবে বাড়িতে উনুন না থাকলে লিট্টি বানানো মুশকিল। সে ক্ষেত্রে গরম কুকারকে উনুন হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।
দই তৈরি: শীতের দিনে বাড়িতে দই পাততে সমস্যা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কুকার দিয়ে করতে পারেন মুশকিল আসান। ঈষদুষ্ণ দুধে ১ চা চামচ টক দই একটি বাটিতে নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার কুকার গরম করে নিয়ে গ্যাস থেকে নামিয়ে নিন। কুকারের গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে ভিতরে রেখে দিন দুধের বাটিটি। এ বার ঢাকা বন্ধ করে দিন। সারা রাত রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘন দই।