ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বার করে নিয়মিত বই পড়েন অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন শুধু ফোন আর ল্যাপটপ। কাজ, বিনোদন, প্রয়োজন— সব কিছুই এর মধ্যে আবদ্ধ। অথচ অক্ষরজ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই মিমিকে খাওয়ানোর সময় পাশে বই নিয়ে বসানোর অভ্যাস শুরু করিয়েছিলেন তাঁর দিদিমা। পড়তে না পারলেও বইতে আঁকা বিভিন্ন ছবি দেখার অভ্যাস হবে, সখ্য গড়ে উঠবে বইয়ের সঙ্গে। কিন্তু এখন তো ডিজিটাল যুগ। প্রায় সব কিছুই ‘স্ক্রিন’বন্দি। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সেই রংচঙে দুনিয়াতে কাটানোর পর বিছানায় বসলেই চোখ বুজে আসে। বই পড়ার ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকে না। মুখের সামনে বই ধরলেই তা হাত থেকে পড়ে যায়। একটি বাক্যও এগোতে পারেন না। সবচেয়ে বড় কথা, যেটুকু পড়তে পারলেন, তা পরের দিন পর্যন্ত মনেও রাখতে পারেন না অনেকে। তাই আবার প্রথম থেকে পড়তে শুরু করতে হয়। হয়তো এই ধরনের সমস্যা থেকেই বই পড়ার উৎসাহ হারিয়ে যেতে বসে। তবে বই পড়া তো এক ধরনের অভ্যাস। তাই এক দিনেই তা রপ্ত করে ফেলা যায় না। তবে সামান্য কিছু বিষয়ে নজর দিলেই আবার সেই অভ্যাস ফিরে পাওয়া যায়।
১) পড়ার পরিবেশ
টেবিল চেয়ারে বসে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করলেও গল্পের বই সেখানে বসে পড়তে ইচ্ছে করে না। তাই পড়ার জন্য এমন একটি নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন, যেখানে বসলে পড়তে ইচ্ছে করবে।
২) লক্ষ্য স্থির রাখা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা সময় বাঁচিয়ে রাখুন বই পড়ার জন্য। নির্দিষ্ট ওই সময়টুকু আর অন্য কিছুতেই ব্যয় করবেন না। প্রতি দিন একটি পাতা করে পড়তে হবে এমন লক্ষ্য স্থির করেই বই পড়তে শুরু করুন।
৩) পছন্দের উপর গুরুত্ব দিন
আগে থেকে বই পড়ার অভ্যাস যদি না থাকে, যে কোনও বই পড়তে ভাল লাগবে না। সে ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের উপর গুরুত্ব দিন। যে বিষয়গুলি পড়তে ভাল লাগে, তেমন কোনও একটি দিয়ে পড়তে শুরু করুন।
৪) নিয়মিত পড়ার অভ্যাস
যত কাজই থাকুক না কেন খাওয়া, শোয়ার মতো বই পড়াতেও অভ্যাসের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। কোথাও যাতায়াতের সময়ে সঙ্গে যে কোনও একটি বই রাখা যেতে পারে। সময়-সুযোগ বুঝে পড়ার অভ্যাস জারি রাখতে পারেন।
৫) স্ক্রিনটাইম কম
ফোন, ল্যাপটপ ছাড়া এখন কাজ করা অসম্ভব। তাই চাইলেও সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে কতটা সময় সেই খাতে ব্যয় করবেন, তা নির্দিষ্ট করে নেওয়াই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy