মেদবৃদ্ধি রুখতে মেনে চলুন কিছু স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস। ছবি: শাটারস্টক।
ওজন কমাতে নানা শারীরিক কসরত, নিয়মিত ডায়েট, হাঁটাহাঁটি সবই করেন অনেকে। আবার কেউ অতশত নিয়ম মেনে চলার ফুরসতটুকু পান না। এ দিকে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ক্ষতি করতে ছাড়ে না এতটুকু। ওবেসিটির হাত ধরেই শরীরে আসে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো নানা অসুখ। তাই কিছু নিয়ম তো মানতেই হবে।
তবে শরীরের দিকে নজর দেওয়ার সময় বস্তুত অল্প হওয়ায়, অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কড়া ডায়েট মেনে চলার সুযোগ ও শারীরিক কসরত করার জন্য সময় বার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাতে অতিরিক্ত মেদের জন্য ভয় যেমন কাজ করে, তেমনই সময়ের অভাব হতাশা ও বিরক্তিও আনে।
তবে, এত কিছু করার সময় না পেলেও খুব সাধারণ কিছু নিয়মের শরণ নিলেও এই মেদকে জব্দ করা যায়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডায়াটেসিয়ান সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত মেনে চলুন এই রুটিন। তাতেও কাজ হবে অনেকটা। জানেন রাতের রুটিনে কতটা বদল আনলে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরবে সহজেই?
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিসের ভয়? এই উপায়ে ডিম খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে অসুখ
ওজন কমাতে গেলে অ্যালকোহলকে না বলুন।
রাতে খাওয়ার আগে একটু উষ্ণ জলে স্নান সারুন। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকলে মাথায় জল দেবেন না। এই স্নান কেবল শরীরকে পরিচ্ছন্ন করে এমনই নয়, ঘুমের পক্ষেও খুব কার্যকরী হয়ে ওঠে। আর ভাল ঘুম হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে ও ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। মদ্যপান ও ধূমপান একেবারে বাদ দিন। দুটোই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। মেদ বাড়ার নেপথ্যে অন্যতম ভিলেন এই অ্যালকোহল। বরং মদের বদলে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এক কাপ জলে দু’ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ খান। এতে হজমপ্রক্রিয়া যেমন উন্নত হবে, তেমনই তা মেদ ঝরাতেও কাজে আসে। খাবারে রাখুন প্রোটিন বেশি। স্টার্চ ও ফ্যাট এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন: রোজ অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা? ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন এই সব উপায়ে
স্বাস্থ্য সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জানতেন?
খাওয়ার ঘণ্টা দুই পর এক কাপ দুধ বা একটু ছানা খেয়ে শুয়ে পড়ুন।
রাতে মেটাবলিক রেট কম থাকে। তাই ফুড পিরামিড মেনে চলুন। রাতের খাবার যেন কোনও ভাবে ভারী না হয়। এ ছাড়াও লক্ষ রাখতে হবে ঘড়ির সময়টাও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের খাবার কান। খাওয়া ও ঘুমের সঙ্গে অন্তত যেন চার ঘণ্টার তফাত থাকে। সম্ভব বলে রাত সাড়ে আটটার মধ্যে রাতের খাওয়া শেষ করুন। এর ঘণ্টা দুই পর এক কাপ দুধ বা একটু ছানা খেয়ে শুয়ে পড়ুন। একান্ত দেরি হলেও চেষ্টা করুন রাত দশটার মধ্যে খাবার খেয়ে নিতে। এর পর আর রাতের খাবার খেলে সে খাবার আর হজম হতে চায় না। খেয়েই শুয়ে পড়বেন না। এতেই বেশি বাড়ে মেদ। বরং ঘুমানোর আগে কিছুটা হাঁটাহাঁটি করুন। রাতের খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি, ফলে মেদ জমবে না।
(শুরু হয়েছে আমাদের নতুন বিভাগ 'HELLO DOCTOR'। এ বারের বিষয় ‘ব্রণর সমস্যা’। এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন পাঠান query@abpdigital.in এই মেল আইডি তে। উত্তর দেবেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy