Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
asthma

অ্যাজমা বা হাঁপানির ভয়? অসুখ ঠেকাতে পরিবর্তন আনুন এ সবে

যাঁরা এখনও পর্যন্ত অ্যাজমায় আক্রান্ত হননি, তাঁদের জন্যও এই সব নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কিছুটা জীবনযাপনের পরিবর্তন ও খাওয়াদাওয়ায় বদল আনতে পারলে এই অসুখকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

অ্যাজমা রুখে দিন জীবনযাত্রা ও ডায়েটের পরিবর্তন করে।

অ্যাজমা রুখে দিন জীবনযাত্রা ও ডায়েটের পরিবর্তন করে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:০৪
Share: Save:

শীতের প্রকোপেই কেবল অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা বাড়ে এমন ধারণা অনেকেই আছে। যদিও চিকিৎসকদের মতে, এ কেবলই মিথ! অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়তে পারে বছরের যে কোনও সময়। মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়গুলোতে এই অসুখের জন্য বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ধুলো, অ্যালার্জি বা দূষণের প্রকোপে ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী যে সরু সরু নালীপথ আছে, তা কুঁচকে যায়। শ্বাসনালীর পেশী ফুলে ওঠার কারণেই এই স‌ংকোচন হয় ও শরীরে অক্সিজেন কম প্রবেশ করে। তাই শ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান মেলে না। এই অসুখের প্রবণতা যাঁদের আছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের সারা জীবনই এই সমস্যা বহন করতে হয়। চটজলদি সমাধান বা সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে ও ডায়েটে কিছু খাবার যোগ করলে এই অ্যাজমা-জুজু ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই।

যাঁরা এখনও পর্যন্ত অ্যাজমায় আক্রান্ত হননি, তাঁদের জন্যও এই সব নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কিছুটা জীবনযাপনের পরিবর্তন ও খাওয়াদাওয়ায় বদল আনতে পারলে এই অসুখকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আরও পড়ুন: কোন রোগের চিকিৎসায় কোন রাজ্যে

অ্যাজমা ঠেকাতে মূল যে সব বিষয় মাথায় রাখতেই হবে, অন্তত সে সব মেনে চলুন দৈনন্দিনতায়। রইল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্তর টিপ্‌স।

যে ঘরে অ্যাজমার রোগী থাকেন, সে ঘরে যাতে যেন যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢোকে, সে দিকে নজর রাখুন। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখুন, ধুলো যত কম থাকবে রোগী তত ভাল থাকবেন। যখনই রাস্তায় বেরবেন, নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই মাস্কও যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিছানার চাদর পারলে নিয়মিত পাল্টান, রোজ তা সম্ভব না হলেও অন্তত দু’-তিন দিন অন্তর তা বদলে দিন ও পরিষ্কার চাদর পাতুন। শীত ও বর্ষায় বাড়তি সতর্কতা নিতে বালিশের ওয়াড়ও বদলে দিন প্রায়ই। শীতে রোদে দিন বালিশ-কম্বল। জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন। কোনও ভাবে সংক্রমিত রোগীর সামনে গেলে বাড়ি ফিরে ভাল করে নিজেকে পরিষ্কার করুন। প্রয়োজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন।​ বাড়িতে পোষ্য থাকলেও আরও বেশি সাবধান হোন। অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ তো রাখতেই হবে, সঙ্গে নিজেকেও হতে হবে সাবধান। কোনও ভাবে তাদের মল-মূত্র বা রোম থেকে অসুখের সম্ভবনা বাড়ে।

আরও পড়ুন: জীবনযাত্রার কারণেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে রোগ

অ্যাজমা রোগীর রোজের ডায়েটে থাকুক একটা করে আপেল।

অ্যাজমা রুখতে কেবল জীবনযাত্রায় সতর্ক হওয়াই শেষ কথা নয়। বরং সাবধান হতে হবে খাওয়াদাওয়ার প্রতিও। এই অসুখ ঠেকাতে বা অসুখের প্রবণতা কমাতে প্রতি দিন খান একটা করে আপেল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে পাঁচটি করে আপেল খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা কমে প্রায় ৩২ শতাংশ।

আপেলের পাশাপাশি পাতে থাক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ। এদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রঙ্কিয়াল ইনফ্লামেশনকে (ফুসফুসের প্রদাহ) কমাতে সাহায্য করে। দুধের ম্যাগনেশিয়ামও এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য খুবই উপযোগী। দুধে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না হলে দুধ রাখতেই পারেন পাতে। দুধে সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত দ্রব্য রাখুন পাতে। শরীরে রোগ প্রতিরোধে উপযোগী হিসাবে বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর খান। এর ভিটামিন এ ক্যারোটিন শরীরে অসুখের হানার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। ডায়েটে রাখুন অ্যাভোকাডো ও স্ট্রবেরির মতো ভিটামিনসমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE