হিটার কেনার আগে ভাল-মন্দ কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
দিনের বেলা জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও রাত বা ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। ঠান্ডা কাটাতে লেপ, কম্বল তো রয়েছেই। তবে বয়স্ক বা সদ্যোজাতদের আরাম দেওয়ার জন্য এই সময়ে রুম হিটার কেনার প্রবণতা বাড়ে। পাহাড়ি অঞ্চলে প্রায় সব বাড়িতেই হিটার থাকে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই আরামের পিছনে কিন্তু বড়সড় বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই ঘরের হিটার কেনার আগে ভাল-মন্দ কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
হিটার কেনার আগে কী কী জানা প্রয়োজন?
১) হিটারের ভিতরে ধাতব বা সেরামিক কিছু উপাদানকে উত্তপ্ত করে তাপ উৎপন্ন করা হয়। ফলে সংলগ্ন অঞ্চলে বাতাসের আর্দ্রতা যায় কমে। তা ছাড়া, অনেক ক্ষেত্রেই বাতাসে অক্সিজেন দহন করে হিটার। ফলে হিটার থেকে বেরোনো বাতাসে কম থাকে আর্দ্রতা ও অক্সিজেন।
২) হিটারের হাওয়াতে শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। তা ছাড়াও মাথা ধরা বা বমি ভাবও দেখা দিতে পারে। তৈরি হতে পারে ঘুমের সমস্যাও।
৩) হ্যালোজেন হিটার বা সাধারণ হিটার থেকে নানা রকম রাসায়নিক নির্গত হয়, যা শ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করলে হাঁপানি ও অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৪) রুম হিটারে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে শ্বাসকষ্টের রোগীদের। ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের সমস্যা থাকলে রুম হিটারের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। হিটারের বাতাসে ফুসফুসের সমস্যা ও শ্বাসনালীর প্রদাহ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থাকলে সাধারণ হিটারের বদলে বিশেষ ধরনের অয়েল হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে আর্দ্রকারক যন্ত্রও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে গ্যাসের হিটার। এই ধরনের হিটারে কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয়। যা শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ ভাবে ক্ষতিকর। লেপ বা চাদরের ভিতর রাখবেন না রুম হিটার। এতে আগুন লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy